সেদিন শেষ বিকেল।
ছাদে এলাম অক্সিজেনের খোঁজে।
চোখ মেলে দিতেই' মনে হল,
একটু আগেই কেউ দূর পৃষ্ঠটায় কিছু বলতে ব্যস্ত ছিল।
কালির চাপগুলি এখনো শুকোয় নি।
মস্তিষ্ক আমার অত প্রখরতা না পেলেও
প্রেরক খুঁজে নিতে অসুবিধে বোধ করে নি।
কিছু অস্পষ্ট শব্দ-বর্ণের ভিড়ে শুন্য প্রাপক।


"প্রিয়,
কেমন আছো?
মনে রেখেছ?
নাকি স্মৃতির তলানিতে?
স্বপ্ন জমাট বাঁধে আগের মতো?
আমায় ঘিরে?
নাকি সফল প্রেমিক বনে আজ??"


সারাংশটা অনেকটা এমন সাধাসিধে প্রশ্নের স্তুপ।
আর এই প্রথম- তুমি জটিল কিছু ভাব নি।
আর এই প্রথম মনে হল- আমাদের প্রেম গভীর হতে শিখছে।


দুজন প্রেমের যত্ন নিতে শিখছি।
দুজনের ভিতর প্রেম পুরনো হবার ভয়টাও আজ স্পষ্ট।
তাইতো ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা-
দেহে আরো কিছু হৃদয়ের জন্ম হোক,
প্রেমের যত্ন নিতে।


তবে কারো কখনো প্রশ্ন জাগেনি,
আমাদের প্রেম কবে সুখে ছিল,
অথবা কে বা সুখে রেখেছে।
উত্তরটা বোধয় দুজনেই ব্যর্থ ছিলাম।
বরঞ্চ এই দুরত্ব আমাদের প্রেমে সুখ এনে দিয়েছে।
সেদিনের ছাদে উঠা সময়, দূর পৃষ্ঠটা,
উদ্দ্যান বা ফুচকার দোকান,
অথবা সময়ের বিশেষ দিনগুলি,
আমাদের প্রেমকে সুখে রেখেছিল।


কিন্তু আমি, তুমি,
দিব্যি সুখে রাখার ভান উপেক্ষা করে
যদি প্রতিদিন আমাদের প্রেমের একটু খোঁজ নিতাম,
একটু সুখে রাখতাম,
দৃশ্যপটটা বোধয় ভিন্নতা পেত,
ভিন্নতা পেত প্রেম।


এদিকে ততোক্ষনে সময় স্বল্পতার সাইরেন,
আর হৃদয় গুটিয়ে নিয়ে নিম্নমুখী যাত্রা।


প্রতিটা প্রেম ধুলোমুক্ত হয়ে বেচেঁ থাকুক।