এই মৃত শহর আমার নয়।
ঘোর কিছু কালো মেঘ দখলে নিয়েছে শহরটা'কে,
নয়তো একটা অভিশাপের প্রায়শ্চিত্তের মধ্য দিয়ে চলছে,
ফিলিস্তিনি শিশুটির নিশ্চুপ আর্তনাদের,
জানলার শিকল ঝাপটে থাকা কাশ্মীরি যুবতীর,
কিংবা যে স্বপ্ন মুকুলেই ঝরে পড়ে - তার অভিশাপের প্রায়শ্চিত্ত।


আজকাল শহরে ভ্রাম্যমাণ যানের দীর্ঘ সারি,
থেমে থেমে সাইরেন।
ব্যস্ততা বেড়েছে তাদের।
বেড়েছে প্রানের দাম।
একজন মৃত পিতার প্রতি সন্তানের নির্মম অবহেলা।
হাসপাতালের পর হাসপাতাল, দরজায় একের পর এক কড়া নেড়ে,
পরিশেষে আরো একটা স্বপ্নের মৃত্যু।
এই নিষ্ঠুর শহর আমার নয়।
এই মৃত শহর আমার নয়।


শহরের অলি-গলি, ফুটপাত, পার্ক বা উদ্যান, শপিং মল, রেস্তোরাঁ
কোথাও প্রাণের সঞ্চার নেই।
মোড়ের মালাই চা খ্যাত টঙ, বিখ্যাত ফুচকা-শপ
রুক্ষতা চেপে বসেছে।
অস্থিচর্মসার হয়ে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে আছে।


জীবন এখানে আজ স্হবির, মৃত্যুর চেয়ে তীব্র।
আকাশ ছুঁতে চাওয়া প্রতিযোগী স্বপ্ন
আকাশ পুষে রাখে ঘরকোণে।
বদ্ধ রুমের জানলার পিছনে প্রতিদিন বিকেলটা চুরি হয়ে যায়।
জীবন প্রতিদিন রং হারায়।


একদিন এই প্রায়শ্চিত্ত ফুরিয়ে আসবে।
এই অসময়ি সময় ফুরিয়ে আসবে।
স্বপ্নের সুস্থ,নিরাপদ চলাচল হবে শহরে।
নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার এতটা তীব্র-মূর্তি দেখতে পাবে না শহর।
আরো একবার যানজটের শহর হবে।
অলি-গলি, ফুটপাত, পার্ক বা উদ্যান, রেস্তোরাঁয় হবে প্রাণের প্রত্যাবর্তন।
চায়ের কাপে চুমুকে সংলাপ-আড্ডার ঝড় উঠবে।
ফুচকা খেতে গিয়ে অমনোযোগী হয়ে হাতে হাত রাখবে প্রেমিক-প্রেমিকা।


সেদিনের অপেক্ষায়।
একটা স্বাভাবিক শহরের।