অশুভ ডানার বিস্তারে,
বিশ্বায়নের শকুনি, আসে কৃষকের ঘরের চালে।
মাটিকে মাখন করে, কৃষক বুনে বীজ
মাটির কণায় কণায় লেখা তার
পূর্বপুরুষের কিংবদন্তী।

তাই মাটিতেই সন্ধি, মাটি ভাগ্যটিকা    
তবুও আসে, ঐ বর্গীর দল, রক্ত পিয়াসী ড্রাকুলা।
লাঙ্গলের তীক্ষ্ণ ফাল, মাটি করে ফালা ফালা  
মাড়াইয়ের মাঠে-মাঠে, বিশ্বায়নের পুঁজির কাফেলা।  

কিষাণী প্যাচিয়ে পড়ে ঢাকাইয়্যা শাড়ী
আঁচলে সুদের গিট।  
এদিকে, আরও এক চতুর শকুনি, ঘরের চালে
বসে, মগ্ন মোনাজাতে ভাবে,
কিষাণীর অপুষ্ট গোরুতে, কবে
চমৎকার আহার হবে।

আকাশ ফেটে আসে বিদ্যুৎ, বাতাসে মাতাল ঝড়।
কৃষকের পাঁজরে লাগে জলাঙ্গির ঢেউ,
বুকে ব্যথা, ধড়ফড়। চরম দুঃসময়,
বিহঙ্গ বোঝে, করেনা কলরব। চারদিকে
জেগে থাকে দালাল-ফড়িয়া-শোষক। তবুও  
উর্বর কিষাণীর ঊরু বেয়ে, আসে
আগামি দিনের কৃষক।


              -----------------------  
১২ মার্চ, ২০১১ খৃঃ
শারজাহ, ইউ এ ই ।