একপেশে লোকেদের মতো কথা বলতে শিখিনি এখনো।
তাই বুঝি ধেনো শব্দের সংখ্যা ক্রমেই বর্ধমান।
চাহিদারা সব এখন ভুল বানানের মত ভাঙা বেড়ায় ঠেস দিয়ে শিস দেয় আর বেশকিমতি জমহাই তোলে।
বেয়াড়া দিনগুলো, খালি মনে হয় হেরো রেসের ঘোড়া,
আর রাতগুলো যেন ঠিক রুমালের খুচরো পয়সা। এদিক ওদিক
ছুঁড়ে ছুঁড়েই ফুরিয়ে যায় কখন।


এই তো সেদিন চৌকিদার রামখিলাওন জোছনা ছড়িয়ে বলে গেল
রাত জাগা শেখো ছোটেসাব,
করবী ফুলের মত,
মাকড়সার জালে জমে থাকা ভোরের শিশিরের মত,
একঘেয়ে রংচটা পিরিচের মত, ভাঙা স্বপ্নের মত রাত জাগা।


বলো দেখি, সবাই কি পারে?


পাঁচমাথার মোড়ের দোকানে, ফুলের গন্ধ নিংড়ে
সস্তায় বিক্রি হচ্ছে মদ,
রাত্রি গভীর হলে ওখানে হুর পরিরা আসে প্রায়দিন, নাচা গানা হয়।
টেবিলে বিছানো থাকে পুরাতন বেভুলো রাস্তারা।
গতানুগতিক কেতা শেষে, প্রতি সাঁঝে চন্দ্র নীর মেখে
ভাবি যাই ফুলের দোকানে।
গিয়ে বলি ওহে রাত, চলো বসি আজ মুখোমুখি,
দু হাত রামির পরে, কথা হোক সুখ দুঃখ নিয়ে।
ভিজে যাক আকাশের চাঁদ।
টেবিলে বিছানো সব বেভুলো রাস্তা জুড়ে হোক আজ ফের কোলাহল।
হৃদয় রাখব বাজি, তার আগে শুধু
ফুল চাই, গন্ধ চাই, পুরোনো সেদিন।
মদ দেবে? বহুকাল মদ খাই নি হে।


কত কি যে ভুল ভাবি।
পরতে পরতে,
নিজেকে ভাঙার আগে যুবতী নদীরা এসে
সেই সব বলে যায় ঠিক। বলে যায় সূর্যাস্ত কেমন করে
বাসা বাঁধে বুকের ভেতরে।
এই আজকাল...