ঢং করে তুমি পানিপুরী বল যাকে
ভালোবেসে তাকে ফুচকাই বলি আমি,
তেঁতুলের জলে চুবিয়ে রাখলে পাতে
সত্যি বলছি, জড়োয়ার চেয়ে দামি।
মুখ গহ্বরে যেইনা পুরেছো ঠুসে
কুড়মুড় করে অম্ল বিস্ফোরণ,
নয়নের কোণা আনন্দে কুঞ্চিত
স্বর্গ সুখেরও ঊর্ধ্বে তৃপ্ত মন।
মুখের ভেতর নরম আলুর পুরে
সেদ্ধ ছোলা ও দাঁত খেলে লুকোচুরি
ঝাঁঝালো মশলা মারামারি করে জিভে
তেতুলের জলে শিহরণ যেন ছুরি।
পাতার বাটিতে বাড়তি জলের ভিড়
বুক ভাঙে যদি ভাঙে ফুচকার খোসা
খাওয়ার আগেই ভেঙেচুরে যায় যদি
ধমকে চমকে জানাই মনের গোঁসা
সার বেঁধে থাকি কাতর অপেক্ষাতে
চার পাঁচ জনা পরে পড়ে টুপ করে
ঝুপ করে গেলা, হাপুস হুপুস খাওয়া
ঝালে ঝাঁঝে নাক চোখের অশ্রু ঝরে।
টপাটপ গিলি সংখ্যা থাকে না মনে
দুম করে হাঁকে ফুচকাওয়ালাটা "আরো?"
প্রতিবার ভাবি গুনবো পরের বারে
ভুল গুনে ব্যাটা এবারো বাজালো বারো।
খাওয়া শেষ হলে গিলি হাতে বাঁচা জল
মুখ মুছে ফেলি, করি অপেক্ষা তাও
এমন কাউকে পাবে না এ পৃথিবীতে
ফুচকার চে'ও যে না ভালোবাসে ফাউ।