মন বলেছে গল্প শোনাই আজ
রাজা রানী, থাকুক সে সব পাশে,
শরৎবাবু, রবি ঠাকুর ঘেঁষা?
পাগল নাকি? আমার তেমন আসে?


আমার জেনো গল্প সাদামাটা
প্রেমকথা যা স্বপ্ন ছুঁয়ে ঘোরে,
একটা ছেলে একটা মেয়ের কথা
যেমনটা হয় মফস্বলের মোড়ে।


শালের ছায়া লাল কাঁকুড়ে পথে
ধূলোর সাথে উষ্ণ হৃদয় মেশে,
এক ঝলকের একটু দেখার আশা
রাস্তা গুলো দিতই ফাঁকি শেষে।


হঠাৎ করে দুচোখ যদি মেলে
উড়ত বুকে দুরন্ত গাং চিল,
ইস্টিশানের পাগল পাগল ট্রেনে
সওয়ার হত কাঁপতে থাকা দিল।


সেই কিশোরী থাকত প্রতীক্ষাতে
নামটা বুঝি মিস পূরবী বাসু,
একটি কিশোর লিখত চিঠি মনে
মন দিয়েছি হে সুচরিতাষু।


গল্প খানা বাড়ছিল তো বেশ
নিয়ম মেনে যেমনটা ঠিক হয়,
হঠাৎ করে ছেলে নিরুদ্দেশ
কি কারণে? না বললেই নয়?


মোদ্দা কথা হারিয়ে গেল সোজা
জীবন তখন বাজিয়ে ছিল শিঙে
বাঁচার নাম যে লড়াই, হল বোঝা
সমুদ্দুরে ভাসিয়ে দিল ডিঙে।


একটি মেয়ে লাল কাঁকুড়ে পথে
হাঁটত একা নজর খোঁজে কাকে,
আপন মনে শীত চলে যায় একা
গ্রীষ্ম গুলো হারায় পথের বাঁকে।


সেই ছেলেটা একটু যখন থিতু
সেই ছেলেটা একটু যখন বড়,
শীতল রাতে স্মৃতির ভয়ে ভীতু
একলা জীবন যখন জড়সড়।


পড়ল মনে সেই কাঁকুড়ে পথ
পড়ল মনে সরল দুটো চোখ,
মন বলেছে এবার এসো চলে
মন বলেছে এবার দেখা হোক।


একলা দিনে মেয়েটা ভীষণ দুখী
রাস্তা গুলো যায় না কোথাও আর,
একঘেয়েমি দিচ্ছে এসে টুকি
কাউকে খোঁজে নজরটা বার বার।


তারপর?


সেই ছেলেটা সেই মেয়েটার সাথে
পড়ল ভেসে জীবন নদীর স্রোতে,
কতই না বাঁক জোয়ার ভাঁটার টানে
সামলে চলা সামনে চলার ব্রতে।


এরপরেতে গল্প খতম হল
এরপরেতে জীবন হল শুরু,
“ধ্যাত্তেরেকি” তোমরা যতই বল
“দুঃখ কোথায়, সেন্টু কোথায় গুরু?”


দুঃখ ছিল হয়তো ছিল ব্যথা
গল্পে আমার, বলব কেন জোরে,
দুঃখ গুলো থাক লুকনো মনে
যেমনটা হয় মফস্বলের মোড়ে।