এই মহানগরীর বুকে, প্রতি পল ক্ষয়িষ্ণু
ইট আর কংক্রিটের খাঁচা।
আগাছার মতো,
হাড়গিলে চেহারার লোক কিছু, ফুটপাতে
শূন্য দৃষ্টিতে, চেয়ে থাকে অদৃশ্য দিগন্তের পানে।
গালি দেয়, অদৃষ্টকে।
অগুন্তি মানুষের ভীড়, স্বেদবিন্দু হয়ে, ঝড়ে ঝড়ে পরে
ধোঁয়াশার মলিন চাদরে।
মিছিলের ভিড়ে, শহর দেখতে আসা গ্রামের ছেলেটি
হারায় বিস্ময়বোধ, খিদের জ্বালায়।
ফোঁস করে পুলিসের লাঠি।
হাতে টানা রিক্সার মত, নিয়েছে বিদায় বুঝি
এ শহরে মানবিকতা।
স্টীমারের ভোঁ বেয়ে, হঠাত আঁধার নামে, শীতের বিকেলে ।
চোখ মেলে রাতের আলোরা, হরেক রকম রঙে।
রাস্তায় গাড়ির ঢল।
আনন্দের খোঁজে, গলিতে ল্যাজ নাড়ায়
দুই পেয়ে সারমেয় দল।
গির্জায় ঘন্টা বাজে, ঢং ঢং ঢং,
গভীর রাত্তিরে, নাচা গানা শেষে,
পার্ক স্ট্রিটের বুকে শ্বাপদেরা চরতে বেরোয়
নরমাংসের লোভে।


এই মহানগরীর বুকে, আবার সূর্য ওঠে
নবারুণ হাসে, ইডেনে সবুজ ঘাসের শিষে।
এত অপবাদ, লাঞ্ছনা এত, তবুও তো প্রিয়তমা তুমি।
হে মহানগরী,
কলঙ্ক বুকেতে নিয়ে তবু তুমি বঙ্গ চন্দ্রিমা,
বাঁচিনে তোমায় বিনে। বড় ভালোবাসি।


কালকে বিকেলে,
যাব যে প্রেমাভিসারে,
ভিক্টোরিয়ার ওই কালো পরীটির সনে।