খাদ্য রসিক আমি বলি মোরে,
খাই খাই বুড়ো বলে লোকে।
খাদ্য ভাবনা, বড় সে সাধনা,
পাজি লোক গুলো ভুল বকে।


কিই বা এমন খাই আমি ভাই
স্বল্পাহারীও বলতে পারো।
প্রাতঃকালেতে, ফলের রসেতে
পেট ভরি, খাই গ্লাস বারো।


তারপরে খাই লুচি দু-ডজন,
সাথে থাকে ঐ ছোলার ডাল।
এক বাটি বোঁদে, রাজভোগ সাথে
খেয়ে তবে ফেরে পেটের হাল।


দুপুরেতে খালি, ভাত চার থালি,
সাথে ভাজা ডাল তরকারী।
মাছে, মাংসেতে, চাটনি সমেতে
পেট ভরা বড় দরকারী।


বিকেলের চায়ে, তেল মুড়ি তায়ে
চপ থাকে প্রায় দশ প্রকার।
বেগুনিটা চলে, মুড ভাল হলে
অনায়াসে সব হয় সাবার।


রাতের আহারে, খাদ্য বাহারে,
বিরিয়ানি নয় পোলাও চাই।
মুর্গ শাহী গ্রেভি, হয় না তো হেভি
রোগন জোশ ও কাবাবটাই।


এই টুকু খাওয়া, খুব বেশী চাওয়া?
বল দেখি ভাই কি অন্যায়।
সাধারন ভাবে, বেঁচে থাকা ভবে,
স্বল্পাহারের নাই উপায়।


(খাই খাই বুড়ো ভাই,
আজকাল অল্প।
খাওয়ার লিস্টি লাগে,
একদম গল্প।
আজকের বাঙালি,
ছোট পেট, বড় দিল।
হরদম অম্বল,
পকেটেতে জেলুসিল।)