স্মৃতির বাতায়ন দিয়ে,
রজনীগন্ধার বাস, রাত দিন উচাটন মন।
সাধনার দিন সব পার হয়ে শিথিলতা ধেয়ে আসে,
ধীরে ধীরে, তোমার কবরী পানে।
চৈতি দুপুরে, ঘুঘুর ডাকের মতো, নিঝুম বিষন্নতা
বিরহ পসরা হেঁকে, দুখের বেসাতি করে।


বিবর্ণ সূর্যাস্ত শেষে,
কূহকিনী সন্ধ্যের মায়াজালে পাক খেয়ে বিষাক্ত ঘুম,
অগোচরে কামড় বসায়। করে প্রাণক্ষয়।
নিশিস্নান সেরে, বাসায় ফেরার সুর, নিশাচর পাখির ডানায়।
বুকের গভীর শ্বাসে সংখ্যা বসিয়ে, সুডোকু খেলার পালা,
হিসেব মেলানো খেলা, আর কত দিন, কত রাত?


জীবনের প্রাক-গোধূলিতে,
কত শত অপূর্ণ ইচ্ছের মিছিলে অসহায়,
বিনিদ্র রাতের আঁধারে, বালিশ ভেজানো কাল,
সামাজিক পূর্ণতার মাঝে।
সব্ই আছে, সবই ঠিক, তবু কিছু ভুল কেন
আঁচড়ায়, কেন মন ফিরে যেতে চায় বার বার,
সেই সব অযৌক্তিক দিনে, তোমার হাসিতে।