দুরন্ত হাওয়ায় যদি পাল তুলে ভেসে পড় কোন এক দিকশূন্যপুরের দিশায়,
ঠিকানাটা যেন, ভুলে যেও না ছিঁড়ে কুটিকুটি করে, বাতাসে উড়িয়ে দিতে।
কারন ঠিকানা যত, অনিবার্য ভাবে, নিয়ে যায় ভূল পথ পানে।
ইড়া পিঙ্গলা জুটি বাঁচাবে না প্রতিদিন জেনো। থেকো সাবধানে।
অস্পৃশ্য স্রোতের ঐ বহতা নির্যাসে, ভেসে যাক আলুথালু রাতজাগা ভোর।
প্রতীক্ষা হোক শেষ, হোক শেষ চেয়ে থাকা, দিগন্তপানের ঐ পথ চলা স্মৃতি।
পাথেয় হিসেবে, বুকে ভরে নিও, সাগরের লোনা জলে ভেসে যাওয়া
ফেনার আঘ্রাণ, প্রবালের মত।
আর নিয়ো দুই চার যুবতী সবুজ পাতা, সালোক সংশ্লেষ রত, তোমার নয়ন ভরে।
পারো যদি নিও বেঁধে, বাঁশের বাঁশরী। সোনালি রোদের সাথে অনেক গল্পগাঁথা
সারা পথ জুড়ে, করবে তা জানি, বাঁশরীর সুরে।
কান্নার বেনোজলে নিভু নিভু তুষের আগুন, রেখো সাথে, কে বা জানে, কখনো
রাতের অন্ধকারে, শীত যদি আসে চুপিসাড়ে।
অবশ্যই ছেড়ে যেও, যত পিছুটান, ভুলের গোলাপবনে ফোটা যত ফুল,
মোহিনী হাসির মায়া।
আর হ্যাঁ, ভুলোনা যেন, ভালবাসা কিছু, টুকরো টুকরো করে
রেখে দিয়ো বুকের পকেটে।
ভাব যদি যেতে হবে, কোর নাকো দেরি আর। কখন যে আসবে জোয়ার।
ভেসে পড় ভেসে পড়, বিলম্ব হয়েছে ঢের। গড়িমসি কোর নাকো আর।