সেদিন হঠাত বৃষ্টি হল, বারান্দাটার পাশে,
মেঘ গুলো সব জানলা দিয়ে, মিষ্টি করে হাসে।


সজনেগাছে শুঁয়োপোকার, রঙ লেগেছে ওই,
ভেজা মাটির গন্ধ সোঁদা, দোখনে বাতাস কই।


রাস্তা বেয়ে উঠোন ধুয়ে, বইছে বারিষ ধারা,
খাতার পাতায় নৌকো গড়ি, ছুট্টে জলে ছাড়া।


চাতাল জুড়ে শ্যাওলা সবুজ, পা পিছলে ধপাস।
ভিজল দেখ জামা কাপড়, নৌকো হল ঝপাস।


মেঘের ফাঁকে, সুয্যি ডোবে, নামে অন্ধকার,
ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি পড়ে, চৌদিকে আঁধার।


আম কাঁঠালের পাতার ওপর, বর্ষাধারা যত,
টপটপিয়ে আওয়াজ করে, ঝরছে অবিরত।


রান্নাঘরের দরজা দিয়ে, মাছভাজারই বাস,
খিচুড়িটা তৈরি আছে, ঘিয়ের সাথে খাস।


চারপাশে যে খোশমেজাজে, গাইছে কত ব্যাঙ,
নহবতের পাক্কা আমেজ, বিষম ঘ্যাঙ্গর ঘ্যাং।


লোডশেডিং এর মজার রাতে, নেইতো পড়াশোনা,
ভূতের গল্পে গা ছমছমে, ওঁদের আনা গোনা।


এমনি করে আস্তে ধীরে, নিদ্রাদেবীর রাজ,
ঘুমের ঘোরে স্বপন জুড়ে, বৃষ্টি মেঘের সাজ।