.       রোজকার পায়ে হাঁটা পথ, আচমকা দুর্বোধ্য হয়
        গোলকধাঁধার মত। ফেনীল স্বপ্নোচ্ছাস যেন,
        ছিপি খোলা বিয়ারের মুখ বেয়ে, অকারনে উপচিয়ে,
        গড়ায় নুড়ি পাথর হয়ে। এলোমেলো হরমোন,
        জানান দেবার ছলে, পাড়ে হাঁক ‘জাগতে রহো’।


        নিঝুম দুপুরে ঘুঘুডাক, কেন যেন, ভাঙ্গা আয়নায়,
        মুখ দেখে ফিরে ফিরে যায়, ঝিলের ঢেউএর ন্যায়
        বাতাসে ছড়ায় অবশেষে। সেই কবে ইতিহাসে,
        বিরহের শুঁয়োপোকা হয়েছিলো লাল প্রজাপতি।
        প্রাজ্ঞ ইতিহাস আজো সেই গাঁথা চুপি চুপি গায়।


        পিছু ফিরে বেঁচে থাকা, সাঁঝের সে বেলফুল স্মৃতি
        কানে কানে কত কথা বলে। বাবুইয়ের বাসা হয়ে
        উগ্রগন্ধী সন্ধ্যে সব, পরিযায়ী পাখি সেজে আসে।
        বিষণ্ণতার হাওয়া, চোখ ছুঁয়ে বাসা বাঁধে মনে।
        চন্দন পবিত্র রাত, তৃতীয় নয়ন খুলে, দেয় হুঁশিয়ারি।


        জৈবিক ঘড়ি বেয়ে সরীসৃপ ব্যাধি সব বাসা বাঁধে,
        দেহের মন্দিরে। সময়ের ঘড়ি, তারি সাথে বয়ে চলে
        টিক টিক, টিক টিক, অনন্ত বা অন্তের দিকে।
        সচেতন বোধ থেকে, বিস্মিত করে আচানক,
        জেগে ওঠে রঙ হীন অচেনা পৃথিবী।