বুঝলি প্যালা, পেছনপাড়ার পিওন পাঁচু,
কাঁচুমাচু, ছিল বসে চা দোকানে,
শুধাই কানে, কি হয়েছে?
বললে পাঁচু, দুঃখে আছে।
যাচ্ছে চলে জীবন খানা বেগার খেটে,
সকল কিছুই গেছে ঘেঁটে,
ঘ-এর মতন। বৌ ছেলে মেয়ে,
একেক খানা স্বার্থপর আর অলপ্পেয়ে,
ডলছে বুকে মুগুর নাকি,
দিচ্ছে ফাঁকি, সবাই কেবল,
দিন রাতেতে। কেউ শোনেনা পাঁচুর কথা,
ভীষন যাতা। বেইমান সব, ভাইটা কেশব?
এমন কি ওই বাড়ির কুকুর
ল্যংড়া লাকি? নাড়ায় না আর লেজটা নাকি,
দেখলে ডাকে ঘেউ ঘেউ ঘেউ।
পাত্তা দেওয়া দূরের কথা,
ভাবটা এমন, হয় না তো কেউ।
তাই তো পাঁচুর দুঃখ বড়, করবেটা কি,
বসে শুধুই টানছে খাঁকি।
বিড়ির কথা বলছি রে ভাই,
কোথায় পালাই, এই কথাটা বুঝলি না তা?
যাকগে সে সব, হচ্ছিল তো পাঁচুর কথা।
বড়ই ব্যথা পাঁচুর মনে।
শুধাই কানে, কি কারনে? সব কিছু তো,
চলতেছিল আপন তালে, নিজের চালে,
কেন তবে করলো সবাই
দুশমনিটা এমন তরো?
“ভাবতে পারো”, বললে পাঁচু ভীষণ রেগে,
“বয়েস হোল ষাটের ওপার,
করব কি আর। পিওনগিরি করার জানো
বয়েস থাকে, সেদিন ডাকে,আসলো চিঠি
চাকরি গেল হলাম বেকার।
এত্তো বছর খাটার পরে, নেইকো পগার।
বৌ ছেলে মেয়ে পায় না টাকা,
হাত পাতে না মাসের শেষে। সবি ফাঁকা।
এমন কি ওই কুত্তা শালা...”
তাই তো বলি ওরে প্যালা, পাঁচুর মনে দুঃখ ভরা।
বলিশ না কেউ বেফাঁস কথা।
পারলে খাওয়াস চা সিঙ্গারা।