তিলক কেটে কীর্তনিয়া হবার বড়,
সাধ জেগেছে প্রাণের মাঝে। সকাল সাঁঝে
খোল বাজিয়ে গাইব কত, মনের মত
নামের মালা তাল বেতালা। লম্ফ দিয়ে
বাহাদুরি, উড়নি মুড়ি, ভাবের আবেশ।
হচ্ছে বয়েস, জমাই উদাস পুণ্যি কিছু,
আসছে পিছু, জবাবদিহির সময় ধেয়ে।
অলপ্পেয়ে, বিদঘুটে ঐ কপাল আমার,
করল বেকার সারা জীবন। ভাবছিল মন
সাধবো যে খোঁজ অনন্তেরই। ভাঙ্গব বেড়ি,
দীক্ষা নেব গুরুর কাছে। হচ্ছে না যে!
এই অবেলায় দিনটা কাটে, দেখার নেশায়
প্রকৃতিরে। আকাশ ঘিরে কতই যেন
রঙের বাহার। কুমড়ো পাতার, সবুজ যেন
ঘর বেঁধেছে মনের ফাঁকে। নদীর বাঁকে
ঢেউ খেলেছে উপর চুপুর, করল তো চুর।
মনের ভিতর গাড়লো শিকড়, পাগল হাওয়া,
পাঁড় বেহায়া। চম্পা ফুলের গন্ধ মেশা।
এ কোন নেশা? ঘাসের ফাঁকে গঙ্গা ফড়িং,
তিড়িং বিড়িং লাফায় কেমন দেখতে গিয়ে
কাটলো বেলা। করছি হেলা সকল কিছু
দরকারি যা বাঁচতে গেলে। সব কি মেলে?
জ্ঞান পাপী হে! সার বুঝেছি, আর হোল না।
জীবন খানা কাটবে মোহে, থাকবে ব্যথা।
সত্যি কথা বলছে হিয়া, এই জীবনে
আমার হওয়া আর হোল না কীর্তনিয়া।।