কখনো সখনো আমি নিজেই নিজের সাথে মাতি কলহেতে,
কি করে এমন ভাবে সময়ে বা অসময়ে সঙ্কুচিত মন।
কতই যে বড় বড় বোধ মননের কথা শেখাই সবেতে,
মুখ থুবড়িয়ে পড়ি যখন তাকিয়ে হাসে আপন জীবন।


ভরে পেট শাক বেচে,
রোজ বুড়ি মাসিটা।
করে তাও দরদাম,
কাড়ি তার হাসিটা।
রেস্তোঁরা বিল দিতে,
একশত, পঞ্চাশ।
যায় চলে টিপসেতে,
তখন তো বিন্দাস।


যতই বোঝাই কেন আসল সময়ে বড় ছোট হয় মন,
ঝগড়ালু স্বত্বাটা নিজের অজান্তে যেন ফোঁস করে ওঠে।
অদ্ভূত যুক্তিতে কেমন ভুলিয়ে চলি বিবেক আপন,
অসহায় মনে তবু নিজের অন্তর থেকে ধিক্কার জোটে।


ষ্টেশনের ঐ কুলি
বুড়ো হাড় মজ্জা,
তবুও চাপাই বোঝা
হয় না তো লজ্জা।
চৌরাস্তায় চায়
ছোট শিশু ভিক্ষা,
তাড়াই মাছির মত
কত মোর শিক্ষা!


আমি ও আমার মত কত শত লোক কাটে দ্বৈত জীবন,
ভাবনার কশাঘাত সয়ে সয়ে বোধ বুঝি গিয়েছে হারিয়ে।
পারি যদি শুধরাতে ক্ষুদ্র ব্যবহার, শুনি বিবেক কথন,
হবে আরো বাসযোগ্য এই ধরাতল, ঠিক জানি এ হৃদয়ে।