প্রতীক্ষায় বসে থাকা, তেল ঢালা ঘুমের পীলসুজে,
রাত্রি দ্বিপ্রহরে।
আকুল আকুতি বুকে, চন্দন চর্চিত দেহ
পা্রে না সইতে কত কিছু।
নিরলস চেষ্টার ছিল না তো ত্রুটি কোন,
মনটাকে উদোম করার।
সীমানা পেরনো চাপ সইতে পারার কৌশল,
শিখে আসা হয় নি তো মায়ের গর্ভ থেকে।
সবাই কি অভিমন্যু হয়?
নিজের হাত পুড়িয়ে অন্যের আরতির দিয়া,
নিভু নিভু হয়ে ফের জ্বলে।
অজান্তেই, মুখ পোড়ে, পোড়ে সম্মান।
দুমুখো জীবন যেন বড়ই অবাধ্য আজ,
কিছুতেই মানে নাতো বাঁধ।
উড়ন্ত প্যাঁচার ডানা,
আঁধারের ব্যাপারীর মত
নৈশব্দের করে দরদাম।
ভারসাম্যের ভারে বড়ই বেতালা কাটে,
নিশি দিন সকাল বিকেল।
মাধবীলতার ফুল ফুটুক না ফুটুক,
রাত কেটে ভোর ঠিক হয়।
পোড়া সলতের বাস বুকে ভরে,
চায়ের দোকান জুড়ে বসে রয় সকাল সকাল,
দুর্বল হৃদয় কিছু স্বঘোষিত
অতিমানবের দল।।