শোন ভাই, ওই প্যানপ্যানে কবিতার পেছন পাকামো সয়ে সয়ে সহ্যের দোকানে কড়া পরে গেল।কাজেই কিছু তো পন্ডিতি না ফলালেই নয় হিসেবমতো। অবিশ্যি হিসেবের কথা বলতে গেলেও চাপ। যতই কর দু এক পেগ ইধার উধার হয়েই যায়। তবুও হিসেব তো থাকে নিজেরই জায়গায় বহাল তবিয়তে। সালোক সংশ্লেষ মেপে কেই বা বড়লোক হয়েছে বলো? কীর্তন গাওয়ার নেমন্তন্ন শেষে খাসির মাংস আর দেশী মদ, এই তো জীবন… যাক না যে দিকে যেতে চায় মন। শালা প্যান্টের ওপর জাঙ্গিয়া পরলেই যদি সুপারম্যান হওয়া যেত, তাহলে আমিও লালু হয়ে মাঠে চরতে যেতাম।


কাব্যের প্রতি রোমকূপে আজ বারুদ বারুদ গন্ধ
সোমরস আর বিপ্লব চাই, প্রেমের বাজার মন্দ।


কত আর টানবি বাছা, ওই প্রেম প্রেম করে পুরো জাতটার মেরুদন্ডটাই ফুস হয়ে গেল। তবু প্রেমের শখ যায় না। লেকের ধারে, আঁধার ঘরে, প্রেম করে নে ঝপাস করে… বহুত হয়েচে বে, এবার মিউ মিউ ছেড়ে একটু রাপচিক হ তো বাপ। একসন চাই একসন। সুধু জীন্সের ওপর তাপ্পি লাগিয়ে মাচো হওয়া? হাঃ হাঃ… ছোড় দো আঁচল জমানা ক্যায়া কহেগা…


সময়ের ঘরে সিঁধ কেটেছি, পরানটা চুরি করব,
যাক না সবাই জাহান্নামে, স্বর্গের সিঁড়ি চড়ব।


যে মালের তিন তলায় চড়তে গেলে জিভ বেরিয়ে আকাশ চাটে, হাঁটুর কারটিলেজ কারে চড়ে হাওয়া খেতে যায়, তার আবার শখ স্বর্গের সিঁড়ি চড়বে। নেংটির আবার বকেয়া সেলাই। কে যেন বলেছিল? লে হালুয়া আবার কাব্য? কারখানার ভোঁ কখনো কখনো শংখের ধ্বনি লাগে জানিস তা, আর ভোঁ না বাজলে শ্মশান? খাদ্য আর খাদকেরা আজকাল ডেলি দল পালটায়, কুয়াশায় আসে বিষ ধোঁয়ার মিশেল।কত ইয়ের বাচ্চারা আজকাল পাওয়ার পয়েন্টে বাঁশ দেয় মানব জাতিকে ঠান্ডা ঘরে।


সূর্য ধরার পণ করেছি ধরবই আমি ধরব,
আঁধার রাতে একলা পথে ঘুরবই আমি ঘুরব।
তুষের আগুন বুকের মাঝারে ন্যায়ে অন্যায়ে লড়ব,
হাতে নিয়ে মোর প্রেয়শীর হাত বিপ্লবে আমি মরব।


কাঁচা খিস্তির স্টকও বিপদজনকভাবে কমে গেছে আজকাল। উদ্ভাবনী শক্তির বড়ই অভাব। হিন্দি ইংরেজি থেকে ধার নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে, বললে বলবি গ্লোবালাইজেসন। মরগে যা, বিষ জল, বিষ ফল আর কোক খেয়ে। আমার কি, আমি চললাম ঘুমোতে। যা তোরা বিপ্লব ফাটিয়ে আয়।