--ইয়ে রাত ভিগি ভিগি, ইয়ে মস্ত ফিজায়েঁ, উঠা ধীরে ধীরে, ও চাঁদ প্যারা প্যারা--বেশ তো ল্যাদ খাচ্ছিলিস। হঠাত এই মাগ্‌গি গণ্ডার বাজারে আবার হরিশচন্দ্র হওয়ার শখ কেন হল রে ভাই। দিতে চাইলে দু চারটে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা দিয়েই কাজ চালাতি, তা নয় একেবারে সুখ দুঃখের বেসাতি করতে গেলি? সামলা ঠেলা এবার। প্রেম ভালোবাসা বিলিয়ে, নিজে উদোম হয়ে ছাই মেখে চিমটে নাচ নেচে সাধু হ গে। যত দুঃখ জমিয়েছিস, আজীবন কাঁদলেও জল হয়ে বেরোবে না। কাজেই আমি বলি, চিল মার চিল। শুধু শুধু মটকা গরম করে লাভ নেই আর।


সুখের মাঝে দুঃখ খুঁজে সুখটা মুঠোয় ধরলি না,
জীবন যখন পদ্ম পাতায় জলের হিসেব করলি না।
দুঃখ সুখের আলিঙ্গনে বড়ই রঙ্গিন কাটছে কাল,
তুই না বুঝিস বয়েই গেছে বুঝছি আমি আমার হাল।


গায়ে তাপ্পি মারা পোষাকও পরবি, আবার শীতও লাগাবি না। তাকি হয় রে পাগলা। ঠান্ডা হাওয়ার সুড়সুড়ি, বগলে আর পাছুতে না লাগালে ঠান্ডার হিসেবটাই যে গন্ডগোল হয়ে যাবে। বেইমানি কি চীজ না জানলে এডাল্ট হবি কি করে? বেফালতু জীবনের খিড়কি গুলো বন্ধ হওয়ার বদলে আরো খুলে গিয়ে আঃ আঃ আজা করে মস্তির গান গাইবে আর ব্যাক গ্রাউন্ডের খেমটা নাচ চরিত্তিরের ইয়ে করে যাবে। গুড বয় হওয়া সোজা নয় কাকা, জীবন শালা ভিলেন বানিয়েই ছাড়বে একদিন বলে গেলুম।


খেরোর খাতায় নাম তুলেছি যাক দুনিয়া জাহান্নামে,
হাতের মুঠোয় প্রাণ ধরেছি, নাই বা থাকো ডাইনে বামে।
চলছে বড়ই টানা পোড়েন, সামলে নিয়ে চলতে হবে,
হিসেবটা ভুল তোমার আমার, মিলের আশা গেছেই কবে।

কাপ্তানি ফলিয়েই তো নিজের সব্বনাশটা করেছিস। এর চে আলু সেদ্ধ ভাত খেয়ে দু চারটে কবিতা লিখলেও বোধ হয় ভালো ছিল। কম সে কম দীর্ঘশ্বাস কাকে বলে সেটা তো জানতিস, দম আটকে মুখ লাল করে বাঁদর সেজে ল্যাজ উঁচিয়ে নাচতে হতো না। আপেল আর পেঁয়াজের কম্পিটিশনে তোর বা আমার ইয়ে মানে চোখও মাথায় উঠত না, আর অভাবের অ্যানাকোন্ডার পিঠে বাঁকা হেসে চাম্পিও করতে হত না।
লোওও তেল মালিশ, কর লোওওও তেল মালিশ...


সুরেই থাকো সুরেই থাকো সুরটা রেখো হৃদয় জুড়ে,
কাছেই থাকো দুরেই থাকো মনটা রেখো অচিনপুরে।
যতই ভাবি ভাববো না আর, ভাবনা কি আর শান্তি দেবে,
থাকবে তুমি থাকব আমি, কাটবে জীবন, লাভ কি ভেবে।


মাঝে মাঝে লাইফকে একটু চমকাতেও হয় ওস্তাদ। তবেই খাপে খাপ। নইলে শালা কাঁধে বসে চুলও টানবে আবার কানে হিসিও করবে। তাই বলি, পাগলা চুলকে লে, একটু চুলকে লে।