ঠিক যেখানে পথ চলতে চলতে ঘুম পায়,
সেখানেই একটা নদী থাকে।
সত্যিই থাকে।
কখনো দেখা যায় বা যায় না।
মাঝে মাঝে মনে সাধ হয় ঠিক অমনই একটা নদী হই,
বা একটা শালিখ পাখি
নিদেন পক্ষে একটা তালগাছ।
কিছুই হয়ে ওঠা গেল না এ জীবনে।


সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়, দুপুর গড়িয়ে রাত্তির…
আবার সেই সকাল।


রেল গাড়ি দেখেছ?
কেমন সটান দৌড়য় বেশ খোলা মাঠ দিয়ে?
কু ঝিক ঝিক… কু ঝিক ঝিক…
রেল গাড়ি চলে গেলেই জানো,
দুধারের পুকুর গুলোয় পদ্ম ফুল ফোটে,
ঢোঁড়া সাপ বেরোয় সাপিনী খুঁজতে,
ছোট্ট দুটো পাখি, নিমফল ঠোঁটে নিয়ে উড়ান দেয়,
কেন? কে জানে …
আগে ভাবতাম রেল গাড়ি হলেও বেশ হয়,
এখন ভাবি না মেঠো বাতাসই ভাল।
নয়তো বা নুয়ে পড়া ধানশিষ…


আকাশে রোজই সূর্য ওঠে,
রোজই ওঠে রোদ্দুর।
ভাবি কটকটে রোদ হয়ে কাজ নেই আর
শুধু শুধু আজেবাজে তেষ্টা গুলো
মনের উঠোনে এসে ভিড় জমাতে চায়।
তার চেয়ে ভাল বরং
কালবৈশাখী হই, পাগলামো ভরা।
কত কি উড়িয়ে নেওয়া যায়
সুখ দুঃখ খিদে যন্ত্রণা হাসি কান্না
কত কত কিছু।


চাইলেই কি সাধ মেটে?
মন মত হয় না কিছুই।


তবু মাঝে মাঝে, সাঁঝ হতে মন চায়
শেষ আলো গায়ে মাখা, গলায় ঘন্টা বাঁধা
সারিবাঁধা গরুদের দল যবে ঘরে ফেরে
তেমনই সন্ধ্যা রাত,
তুলসী মঞ্চের কোনে মাটির প্রদীপ জ্বালা সাঁঝ।