সারথী!
নিশি জাগিও না ঘুমোওনি এখনও,
গাঢ় জোস্নার আলো নেবে কি তুমি?
ঐ যে বকুলতলায় আজ জোস্নার টেঁউ খেলে
গত পূর্ণিমায় তুমি ছিলে সাথী
হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি,
গভীরতা ছিল তোমার আমার
তাই আজ এই,
জোস্নায় আমি একা।
সারথী!
কত রজণী পার করিয়াছি দু-জনা,
জোস্নায় হেঁটে ঐ কাঁঠালতলায়
তোমার পায়ের ছাপ আজও ভাঁসে
মিঁটমিঁট করে জোস্নার আলোয়।
সারথী!
ঘুমের দেশে কি বকুলফুল আছে,
তোমার প্রিয় ;
আচঁলে লুকিয়ে রাখতে,
কি ছেলেমানসি ছিল তোমার
ভাবছি এই গাঢ় জোস্নায় বসে
একা একা তুমি নেই বলে!
সারথী!
কি ভাবছ আমি একা,
না, আমি একা নই তোমার ছায়া আমার হৃদয় জুড়ে
এই যে কথা বলে যাচ্ছি দিব্যি খেলে,
জোস্নার সাথে- তোমার ছায়ায়।
সারথী!
আজ আমি দাঁড়িয়ে এই দিনে
শুধু তুমি নেই,
মুঠোঁয় মুঠোঁয় স্বপ্ন ছিল দু- জনার;
অপ্ল অল্প চাওয়ায়
শুধু,তুমি নেই।