একটা আগলে রাখার গল্প বলব আজ,
আগলে রাখার গল্পে,
সময় পেরিয়ে ,
অসময়ের হাত ধরে ,
দুঃসময়কে সঙ্গী করে ,
সুসময়টা আসবে ফিরে ।
আগলে রাখার গল্পটা, একটু অন্ধকার।


বাবা এটা কি  ?
এটা চলন্ত বাড়ন্ত বাস্তবতা বাবা ,
নিষ্ঠুরভাবে সামনে এগিয়ে যায় ,
এইখানে কারো ভোর সুবাস ছড়ায় ,
দুপুর পেরিয়ে বিকেল গড়ায় ,
রাত্রী আসেনা তাঁর ।


কেউ ভরদুপুরে বেডটি খোঁজে ,
বিকেল ভোরে অবুজ সাজে ,
রাতের আঁধার তার ,
আলোকিত অন্ধকার।


আম্মুকে কি কিছু জিজ্ঞাসা করেছিলাম ,
মনে পড়ে না আর,
আকাশব্রত কাঁদতে গিয়ে ,
চুপচাপ বসে থাকি ,
একলা পৃথিবী আমার ।


মাঝে মাঝে কচুপাতা তাকিয়ে থাকে ,
শিশিরভেজা ঝলমল আবেশে,
টলমল ছলছল সাঁজে ,
অপেক্ষা একটা টোঁকার।


এই লেখাগুলো তুমি দেখবে কিনা জানিনা ,
বন্ধুরা হয়তো দেখবে  ,
বলবে পাগল প্রলাপ একপেষে ,
কি উদ্ভট আমি , কেউ কি জানে?


আমি সন্ধা দেখতে চাইনা।
সন্ধার পরেইতো নেমে আসে অন্ধকার ।
নিজের সাথে কথা বলা ,
আর হেরে যাওয়া বারবার।


বন্ধু ,খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে ,।


বুকভারী বেহালা সুরে,
নিকোটিন বিষে,
ছন্দহীন কথার আবেশে,
চাপা পরে যায় ভালবাসার ছবিগুলো
কাঁধে মধ্যবিত্ত দায়িত্ব ।
সমিকরন সমাহার ।


মাঝে মাঝে বউ বলে ,
তুমি কেমন জানি ,
ছেঁরা তার গিটার ।
দির্ঘশ্বাসে নিকোটিন বিদ্রোহ করে ,
মুচকি হাসি দিয়ে বলে ,
আমি এমনি ,স্রোতের টানে ক্ষয়ে যাওয়া পাথর ,
সাদা কালো  জোয়ার ভাটা অন্ধকার।


আমিও এখন বাবা হয়েছি ,
জমজমাট সময় পেরিয়ে ,
কত উত্তাল পাত্তাল কুচবিহার।
অনুনয় অভিনয়ে বড়া আদমি
খোলাস পাল্টায় বারবার ।


কোভিড ১৯ চক্করে পরে
বেরিয়ে পরেছি রক্তের টানে ।
খালি হাতে শেকড় ধরার গল্প,
লিখছি,  আগলে রাখার গল্প।
বীজগণিত ,পাটিগণিত একাকার ,
আগলে রাখার গল্পটা এখনো অন্ধকার।