এই কলমের নিয়মটা
আর মানতে ইচ্ছে করছে না ।
পেপুনী আর কুমড়ানীর মাঝে
ভেশন ছাড়া ভাঁজতে ইচ্ছে করছে ।
তেল কী দেব? না থাক ।
তখন দেখা যাবে তেলের জায়গায়
তেঁতুল দিয়ে ফেলছি।


ঘড়িতে রাত দুটো ।
একটু ঘুমানো দরকার ।
তা নাহলে দেখা যাবে সেহেরীর শেষ সময়টা,
অবশেষে ভাগশেষ হয়ে যাবে ।
আচ্ছা শুরু থেকে এখন
সব কিছুই কী ভাগাভাগী হয় ?
তা না হলে ভাগশেষ কোথা থেকে আসল?
আর ভাগাভাগীর মাঝখানে
যারা অভাগী তাদের কী অবস্হা?
ধুর, যাচ্ছে তাই ভাবছি ।
তার চেয়ে বরং একটু ঘুমাই।


আমিতো ঘুমাচ্ছি তাহলে কলম চলছে কেন?
কে যেন বলে উঠল -
সব প্রশ্নের উত্তর জানতে নেই বাছা।
আচ্ছা ,আমি কি বাছা ?


বাছাই তো।
বড় ধরনের কেউ হলে ,
এতক্ষনে হয়তো বড়সর
কোন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতাম ।
কলমের নিয়ম মানতে যেতাম না ।
ঘুম আসছে বলতে পারতামনা ।
একটু ঘুমানো যাক ভাবতে পারতাম না ।


বাছার বাছাবাছি একটা কথা মনে পড়ে গেল,
জীবন নামের রেল গাড়ীটা পায় না খুঁজে ষ্টেশন ।


হাহাহা এক জীবনের কত ভাবনা।
নিজের নিজের করতে করতে
নিজের বলতে এক সময়
নিজেকেই বোঝা মনে হয় ।
সরল সমীকরনটা
সুষম বন্টনের আর্তনাদে ভোগে ।
সব বুঝি ।
না বোঝার ভান করে
শুধু বলতে পারি ঘুম আসছে।
ঘুম কী আসলে আসে ? 


আবার যেন কেউ বলল -
বাছাটা আজকে অনেক প্রশ্ন করছে ।
আমারোতো অনেক প্রশ্ন আছে
উত্তর কে দেবে ?
আর তাই উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে
দক্ষিণে গাঁ ভাসিয়ে
নোনা জলের অপেক্ষায় আছি । 
তারপর আমিও ঘুমাবো ।
কী ব্যাপার হাত বাড়াচ্ছ কেন ?


বললাম - কে যেন বলেছিল ,
বিবেক ঘুমায় না ।
সে সদা জাগ্রত ।
আজ দেখছি বিবেকও আমার মত ক্লান্ত ।
জাগ্রত বিবেক ঘুমের অপেক্ষায় ।
আমারো ঘুম আসছে ।