জীবন টাকে মাঝে মাঝে এত কঠিন মনে হয় যেন বুঝি এই হেরে গেলাম।প্রতিনিয়ত অবাক হই পরিবতন দেখে ।মানষিক অশান্তি এমন একটা রোগ যার কারনে প্রতিদিনের কাজে খুব ব্যাঘাত ঘঠে,মন,দেহ,ভালো লাগা,সব যেন পক্ষাঘাত গ্রস্থ হয়ে যায়।ডিপ্রেশন এমন ই ভয়াবহ ব্যাধি যে আক্রান্ত হয় সে ই বুঝে তার উপর দিয়ে কি রকমের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।এটা থেকে পরিত্রানের উপায়টা ও নিজের কাছে,কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও চরম ডিপ্রেশনে ভুগেছিলেন আর উনার এই অবস্থা থেকে একমাত্র উনিই নিজে এ থেকে উত্তোরন করেছিলেন।কবিগুরু এই চরম মূহূতে তিনি উনার ছেলে রতীন্দ্রনাথ কে একটা চিরকুট লিখেছিলেন আর এতে উল্লেখ করেছিলেন আমি এখন এমন একটা সময় ব্যহত করছি যা আগে কখনও হয় নি ,প্রতিনিয়ত একটা ভয় আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।এই বুঝি বাবা তোমার কিছু হল।এর থেকে যেন আমি দিন দিন আর অনেকটা পিছিয়ে যাচ্ছি।মনে হচ্ছে জীবনের সায়ান্নে এসে এই বুঝি কালীর দুয়াত শেষ হয়ে যাবে,জীবনের শুরু কোথা থেকে করেছিলাম আর শেষ ই বা কি করে হবে...স্মৃতি ও যেন এখন আমরা সাথে ছলনা করছে....কবি গুরু এই উক্তি উনার ছেলেকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন তিনি উনার চরম খারাপ সময়ের কথা উনার ছেলেকে বুঝাতে ছেয়েছিলেন।এই চিরকুট লিখার তার আনুমানিক তিন চার মাস পরে আরেকটা চিরকুট লিখেছিলেন আর তাতে তিনি তার ডিপ্রেশন থেকে উত্তরনের কথা লিখেছিলেন।বলেছিলেন যা আমার থেকেই উৎপত্তি হয়েছে তাতো আমাতেই শেষ পরিনতি তাহলে আর কিসের ভয়....আমি এখন অনেকটাই ভালো বোধ করিছি...... কবি গুরু যদি এ থেকে উত্তোরিত হতে পারেন তাহলে আমরা কেন পারবো না আলোর শিখা প্রজ্জোলন করতে তা অবশ্যই আমাদেরই সৃষ্ঠি.......মনে রাখতে হবে যা আমাদের থেকে সৃষ্ঠি হয় তা আমাদেরই মাঝে পরিনয় হয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই....বাকিটা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম ? যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে.....