চিরকাল মাঝারি মাপের, কোন দিন যুদ্ধ করতে চাইনা।
আমি যে এক সাধারণ জনতা, আম আদমির প্রতিনিধি তাই না?
মাঝে মাঝেই উত্তেজিত হয়ে উঠি, আবার ক্রমে ক্রমেই নিভে যাই।
নেতারা আসে আমাকে জাগায়, প্রয়োজনে আমারা হোই কত কত ভাই।  
পক্ষ-বিপক্ষের কোন দলে আমি নেই তবু ভোরের অপেক্ষায় আছি।
রণক্ষেত্র পাড়ে বসে আছি যুদ্ধ দেখব বলে, দুপক্ষের  কাছাকাছি।
যুদ্ধতো দেখিনি কিছুই, পাইনি সেই রণক্ষেত্রে মহা বজ্রের উত্তাপ।
যুদ্ধ শুরু পূর্বেই তৎকালীন ঘোষণা দুইপক্ষই মিলিত জয়ী, বিভ্রান্তিকর এক প্রলাপ।
সরকার ও বিরোধী মিলিজুলি পার্লামেন্টে, স্পিকারের মুখটা মনে পড়ল।
মিডিয়া গুলোর নিজ অবস্থান যেন বহুআগেই জানা ছিল, খণ্ডযুদ্ধে ব্যস্ত হোল।
বিরতির পর মিলিত চা-পান, আবার একে অপরের মুণ্ডপাত করা যাবে।
অনুধাবনের বাইরে আমি উৎসুক নই, প্রনাম্য মহাভারত আজও দৃষ্টান্ত হবে,
একলভ্য নই তবুও জেনে গেছি, বৃথা যাবে গুরুদক্ষিণা, অপচয় ।
প্রহসন পক্ষপাতিতায় আজ ধর্মযুদ্ধ, কোনো তর্ক-কথা নয়,
একে একে মুখ গুলো ভেসে উঠে, অসহায় পিতামহ ভীষ্ম আজ,
চকিতে কথা বলে যায় পেটো ভোজালিরা, মদের গন্ধে রাতের মধুকরীর রাজ,
এই পবিত্র রণভূমি, কুটিল পাশার চালে বাজি মাত, হবে এখন নারীর বস্ত্র উন্মোচন,
কিসের ভয় নারী? এটাই তো উৎসব, উদ্ধারে যে শ্রীকৃষ্ণ! পাশে পাবে কলির বৃন্দাবন!
ব্রহ্মাণ্ডের আকাশ তারারা, কোন পক্ষের হয়ে বাঁকা চোখে সারারাত অবিরাম জ্বলে?
শোনা যায় মাঝে মধ্যে সদ্যজাত শিশুর কেঁদে উঠার শব্দ বসুধার তলে!
তবুও বাঁচব, আরো বাঁচতে হবে একশো বছর ঘেঁষাঘেঁষি আধো আলো ধোঁয়াশায়,
জানা নেই নিজের পক্ষটা, চলার শেষ নেই, চলেছি লক্ষ বছর বাঁচার আশায়।