সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে অনুভব করলাম পৃথিবীর সমস্ত ভার,
পশ্চিম হাওয়াটা অসহ্য যন্ত্রণাময় তিক্ত,
তীরের সারি সারি ঝাউগাছগুলো হেলে পড়েছিল পারের লবণাক্ত মরুভূমিতে,
স্মৃতি রেখে গেছে কেউ উপড়ে ফেলার নিদারুণ ঊর্ধ্ব-চাপে বশ্যতা স্বীকার।
যার পেছনে কোন যুক্তি নেই, বইয়ের পরিচ্ছেদ খুঁজলেও পাওয়া দুষ্কর,
ঢেউগুলো আছড়ে পড়ে মনের গভীরে বাঁধ ভাঙার ব্যস্ততায়,
নির্জনতা শুধু আমার মধ্যে বুক টনটন করা  শিহরণ,
যেন মনস্তাপে জ্বলে শুধু মানুষের অসহায় মন,
শীতের সন্ধ্যায় বৃষ্টিতে ভেজা দাঁড়কাকও এত বিবশ নয়,
ভেজা বাতাসে সাইরেন বেজে চলে, কিছু গাঙচিল বাড়ি ফেরার পথে-
যুদ্ধের শেষে মিছিলে মিশে যায়।
ফণীমনসা শুকনো গাছ বলে আজ তারা কাঁটাতার রূপে প্রকৃতির প্রতিনিধি,
আমি এই পৃথিবীর শেষতলে দাঁড়িয়ে,
ভাবছি প্রতি মুহূর্তে পৃথিবীর পাদপৃষ্ঠে আমি একা,
এই নির্জনতাই একাকীত্বের শাস্তি,
নাভিকুণ্ডে বেরিয়ে আসা এক বিষণ্ণতা।