নবাবের ছিল কিছু সদগুণ,
হাতে ছিল কিছু প্রকৃতি আর বৃক্ষ রোপণ,
স্নিগ্ধ সবুজ তার কার্পেট লনে,
দাঁড়িয়েই তো বড় হলেম জানে জনে জনে,
আশীর্বাদে ছেয়ে ছিল সুদীর্ঘ করুণার হাত,
উপরে সুনীল আকাশ প্রশ্রয় দিল সাথ,
অবারিত ধারা মাতৃকাসুলভ,
মেঘকুণ্ডলী আর নদী যেটি ছিল দুর্লভ,  
দুহাত ছড়িয়ে শিথিল চুল গুলো এলিয়ে,
অন্ধকারে বা হেমন্তের দিনের পরশে দুলিয়ে,
বেড়ে ওঠা অতৃপ্ত যৌবনে কত মৌমাছি,
আসা যাওয়া ফুলের রেণুর গন্ধ আর মাখামাখি,
পারলাম কি বাঁচাতে নিজের শুদ্ধতা,
জন্ম হবেই বিধাতার দেওয়া নির্দেশে বশ্যতা,
জন্মাল ছোট্ট শিশু নিজের শরীর দিয়ে,
বেড়ে ওঠা শিশু আমার রসে আমাকে জীবন ফাঁদে জড়িয়ে,
সন্ধ্যা পেরিয়ে অন্ধকার, ছায়াপথ হাসে সাদা দাঁতে,  
ভয় পেয়ে ওঠা শিশু বাদুড়ের পাখার ঝাপটায় রাতে,
অতৃপ্ত ঠোঁটে রক্ত ঝরাতে চায়,
বুকের শান্তির স্থানে কোলের শিশু মুখ লুকায়,


সময়ের হাতে বেড়ে ওঠা সেই শিশু, আজ পরিপূর্ণ এক শরীর,
যৌবনবতীর পূর্ণতায় প্রতি কোষে পুষ্ট নিটোল অবয়বে অধীর,
ফুটে বেরিয়ে আসা অতৃপ্ত রেখা গুলো ফেটে বেরোল,
খেঁচরের ললুব্ধ কামনার দৃষ্টি ত্রাসে সব হারাল,
ভয়ে কাঁপি আমি কত দিন আর বাঁচাব আমার সন্তানকে,
মাথার উপরে প্যাঁচার কন্ঠস্বর, তাকাই কোন দিকে?
তার চেয়ে ঝরে যাক পরিহাস রূপে ঘটুক ভূমিতে পতন,
অভিশাপ দিই অঙ্কুরিত হোক আত্মবিলাপের আরও এক নূতন জীবন,
অথবা পূর্ণ হোক কোন ভয়াল জন্তুর জঠর গহ্বর,
শুধু নির্বাক, দাঁড়িয়ে আমি বৃদ্ধা কাঁঠাল গাছ বিষাদসিন্ধু পার।