সেদিনও তো চার পলকে দেখা হয়নি, স্বপ্নেও আসনি কখন?
অথচ,  কবিতায় বহুক্ষণ আজ তোমার সাথে পরিচয়!
        
        কি অদ্ভুত ব্যাপার বল?
ঠিক কবিতার জন্যই...
আমি পুরুষ আর তুমি নারী হয়ে জন্মালাম যেন!

        চৈত্রের দ্বিপ্রহরে কবিতায়...
বালুচরি শাড়ির নীল আঁচলের বিজন ছায়ায়!  
        যেন চন্দন বনের ভিতরে অমরত্ব লাভ...
        আহা, কত শীতল স্পর্শ ছুঁয়ে যায়!
               নেশায় ঘোর আচ্ছন্ন!  শুঁকি আমি...
               চন্দনের সুবাস জড়িয়ে তুমি!
               আজ দীর্ঘ সময় হাতে নিয়ে এলে,
আশ্চর্য... আমাকে বলার অবকাশ দাওনি ‘প্রিয় একটু দাঁড়াও’!
        
               আবেশিত অপলক তোমার মুখশ্রী,
আঁকি আমি, সেই মৌসুমি স্রোতের মেঘবালিকাকে,
        আমার প্রথম যৌবনের উন্মাদনার ঢেউ‌,
        ভালোবাসার শিহরণ শিরা-উপশিরায়,
        দেহে জ্বলে অশোক আগুন, দেখি অস্থির বিজ্ঞাপন,  
বারেবারে কবিতায় হারাই,


        শুধু কবিতার জন্য...
               আরো দীর্ঘদিন না হয় বাঁচতে চাই।