জীবনের দ্বার সংকীর্ণ মৃত্যু-গহ্বর, শশ্মানে পৌঁছায় শেষধাপ 
ছিঁড়ে যাওয়া জন্মসূত্র পরে থাকে যাবতীয় ছাপ
যেখানে ভুলেও কেউ আসেনা, আসবেও না
শুধু ফেলে যায়, কিছু ক্ষয়িত আবর্জনা
বেরিয়ে আসা অতীন্দ্রিয়র বিষাদের আয়
যোনিমুখী মৃত্যুযোগের কিছু ব্যয়
দেখলে শুখা-কুয়া অথবা বালির গর্ত, চলে লেনদেন
পুঁতে যায় জন্মহীন ভ্রূণ, সুরম্য আবেগ বলে ওঠে আমেন


মুখেই সম-মর্যদা, হোক তবে কিছু নারীভ্রূণের বলিদান,  মন'যে ধোঁয়াটে
এরকমই হয়, দির্ঘজীবি হোক পুরুষভ্রূণ তফাতে
ক্যালেন্ডারের জন্মদিন পালন, ব্যস্ত সমাজ তুমি ওরা আর যেন কারা?
উদযাপনে লেখা থাক ইতিবৃত্ত এতটাই আজ আনকোরা
ফ্যান্টাসিতে কেয়া শেঠ লুকিয়ে মাখেন বোরলিন
রাত যে প্রশ্রয় ভরা একবার মিশে যদি বড়দিন
অসংখ্য ভবিতব্য পুরুষভ্রূণ জন্মাবার আঁচে 
বিবশ আসক্ত প্রবীণ সমাজও নাচে


না ফোটা পারিজাত, হাহাকার শুধুই শূন্যতা নিথর বিবর্ণা
ডুবে আছে অপ্রাকৃতিক অন্ধকারে, এখানে সহজে কেউ আসে না 
আশ্রয় চেনা চরাচর মাটিতে নিভেছে সব, চিরকালীন অসম
সূত্রের মূল থাকে ভিতরে, কারন মাটির ভিতর থাকাই শিকড়ের নিয়ম ।।