ধুলোবালির শহরে জ্বলছে চোখের জল,
ক্ষুধা আর আশায় গড়া প্রতিদিনের কর্মফল।
নির্বাক দেয়ালে আঁকা শ্রমিকের মুখ,
কান পাতলে শোনা যায় নিঃশ্বাসের দুঃখ।
আজ শাসকের দালানে বাজে উৎসবের ঢোল,
তাই পেছনে পড়ে থাকে পথের হতশ্রী কোল।
আজ সেই শিশুটি কাঁদে, যার স্বপ্ন নেই শূন্য ক্যানভাসে,
তাই নাগরিক ব্যস্ততায় সরে যায় সব রং, তুলি, ভাষা।
তবুও জেগে ওঠে ওরা, গর্জে ওঠে ওদের তৃষ্ণার্ত প্রাণ,
যেমন করে জেগে ওঠে ছিন্নমুলের বুকে গাঁথা বিদ্রোহের গান।
অসহায়ের নীরবতায় যখন চিৎকার হয়,
তখন চুপ থাকা পাপ, আর জ্বলে ওঠা অসহায়!
জানি, একদিন আসবেই সেই সকাল,
যে সকাল রাঙবে গাঢ় লাল রক্তে।
বুকের ধুকপুকানিতে বাজবে সেই ডাক,
"ভাঙো শৃঙ্খল, জ্বালাও আগুন, মুছে দাও সাম্রাজ্যবাদ!"
এ জীবন শুধু বাঁচার আর্তি নয়,
এ জীবন এখন প্রতিবাদের প্ল্যাকার্ড - নতুন শুরুর র্যালি!।
শোষণ যেখানে, প্রতিবাদ সেখানে-
এই চেতনা জ্বলুক রক্তের সীমানায়!
আকাশে ওড়ে না আজ সাদা পতাকা,
আজ বিপ্লবের রঙ লেগেছে শহরের ফটকে।
আইনের বই নয়—মানুষ চায় ন্যায়ের দাবি।
ন্যায়বিচার, সম্মান, আর এক টুকরো চাঁদ, রবি।
নেতৃত্ব নয়, চাই এক আলোর পথ-
যে আলোয় জাগে শিকড়হীন সত্যরথ।
মাঠে, কলকারখানায়, চালাঘরের ঘামে
বিপ্লব রচিত হবে নীরব অভিমানে।
এ শহর জানে না কারা লিখে ইতিহাস,
যাদের রক্তে গড়া, তাদেরই করে উপহাস।
তাদের জন্য কবিতা, তাদের জন্য গান,
যারা রুখে দাঁড়ায়—অন্তরে জ্বালায় প্রাণ।