সাহিত্য দিয়ে চিঠি লিখলেই বুঝি প্রিয়তমার মন পাওয়া যায়?
তবে আমি তো নই কোনো কবি, নই ভাষার কারিগর,
আমি কেবল এক ভালোবাসার যাত্রী,
যার হাতে নেই ছন্দের ফর্মুলা, নেই নেই শব্দের যাদু,
আছে শুধু একরাশ অনুভব—অগোছালো,
অথচ নিখাদ, নির্মল, ভীষণ সত্য।

তোমায় ভালোবেসে কখনও শব্দ খুঁজে পাইনি,
তোমার সামনে দাঁড়ালে আমি তৃষ্ণার্ত হয়ে যায়,
মনের ভিতর ঢেউ তোলে হাজারো বাক্য,
তবুও ঠোঁট অবশ -  
কারণ আমার প্রেম, চিৎকার করে বলতে না পারা সেই প্রেম,
অথবা তোমার ছায়ার পাশে নিঃশব্দে বসে থাকার নাম।

আমি কবিতা লিখতে জানি না,
তবুও প্রতিদিন তোমায় নিয়ে হৃদয়ের ভেতর
এক একটি করে পংক্তি জন্ম নেয় -
হয়তো তুমি কখনও শুনতে পাও না,
কিন্তু সেই অদৃশ্য কবিতাগুলোই আমাকে বাঁচিয়ে রাখে।

সময় থেকে সময়ান্তে,
দিন পেরিয়ে মাস বদলায়, বছর বদলায়, ঋতু বদলায়,
আর তুমি ধীরে ধীরে চলে যাও
দিন, মাস, বছর আর ঋতুর মতো নিঃস্বগতায় -
চোখের সামনে, নিঃশ্বাসের দূরত্বে,
তোমার হাসি, আর তোমার হেঁয়ালি
সবই আমার দৈনন্দিনতার অমূল্য দৃশ্যপট।

তবুও, আজো মনে হয় তুমি দূরে -
এক অদ্ভুত দূরত্বে, যেখানে আমি পৌঁছাতে পারি না,
শুধু তাকিয়ে থাকতে পারি,
চোখে স্বপ্নের পাখি নিয়ে, ঠোঁটে অচেনা এক মৌনতা।

তুমি হয়তো জানো না,
তোমার প্রতিটি হেসে ওঠা মুহূর্ত
আমার পৃথিবীটা একটু করে আলোকিত করে,
আর তোমার একবার না তাকানো
আমার আকাশে মেঘ জমায়,
বৃষ্টি নামে বুকের গভীরে।

একদিন তুমি ছিলে আমার পাশে,
তবুও তোমায় কখনো ছুঁতে পারিনি,
কারণ হয়তো সাহস ছিল না,
হয়তো তোমার সময় ও ছিল না,
অথবা এই ভালোবাসা ছিল শুধুই আমার একান্ত ভেতরের খেলা।

আজ তাই লিখছি - এই চিঠি, নয়তো কবিতা,
হয়তো কিছু অপ্রকাশ্য অনুভবের জঞ্জালে ভরা অক্ষর,
কিন্তু প্রতিটি লাইন, প্রতিটি বিরামচিহ্নে তুমি আছো,
আছো এক অপার নিরব ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি হয়ে।

তোমায় বলার মতো গুছিয়ে কিছু নেই,
তবুও বলছি -
আমার অগোছালো ভালোবাসাটা,
তুমি যদি কখনও পড়ো, অনুভব করো,
তবে বুঝবে,
তোমার অজান্তেই আমি কেমন ভালোবেসে ফেলেছি -
আলতো করে, নিঃশব্দে,
সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে।