প্রতিভাধর  সুকুমারের অজেয়
কলমের খোঁচায় হৃৎপিন্ডের গভীর
ক্ষতের প্রকাশে তুমি বিদ্রোহী ...
বিদ্রোহী তুমি.... বিদ্রোহী....তোমার নাম।


হ্যাঁ,তুমি বিদ্রোহী!
বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা দিয়ে তৈরি
বিশাল বিদ্রোহের সমুদ্র তুমি  
তুমিই জলতরঙ্গের মতন বালির বাঁধ ভেঙে স্বমহিমায়,স্বপ্রতিভায়,সমুজ্জ্বল বিদ্রোহী বীর শিঁখর হিমাদ্রির !


হে প্রাজ্ঞ! হাজার বিদ্রোহীর মুখ তুমি
তাদেরই আশীর্ব্বাদে আর দুস্তর
পারাবারে অনন্য চির উন্নত
অগ্নিবীণার ধূমকেতু ছিলে তুমি।


আশাবাদী সুকান্তের পূর্বের সূর্যোদয় তুমি জীবন সমুদ্র স্বরূপের অনাবিল আনন্দের আর দার্শনিক রবির অনন্ত কিরনে ছিলে
একা উন্নত শির।


সাহিত্যে তোমার বৈচিত্র্যপুর্ণ অবদান বাংলা কাব্য জগৎ উদ্ভাসিত।
তুমি বলেছিলে "বিদ্রোহী মানে কাউকে
না মানা নয়, যা বুঝিনা তা
মাথা উঁচু করে বুঝিনা বলা।"


তোমার সেই বহুমুখী সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের মাঝে আমরা কেবলই খুঁজে পাই মানবপ্রেম আর দেশপ্রেমের কথা।
খুঁজে পাই দ্রোহের কথা প্রগতির
কথা স্বাধীনতা আর মুক্তির
চেতনায় দেদীপ্যমান মানুষ আর
মানবতার জয়গান।


মুক্তিকামী মানুষের মনন ও মানসে তোমার বিদ্রোহের সুর আজও অনুরণিত ।
তোমার দ্রোহের অনির্বাণ শিখায় অবহেলিত-অপমানিত নির্যাতিত বঞ্চিত মানুষ জ্বলে উঠেছিল বজ্র শপথে।
তাইতো ন্যায় ও সাম্যের অর্নিবান বজ্রনিণাদে তোমার কলম উদ্ভাসিত হয়েছে বারবার।


হে বিদ্রোহী বীর! কৃতজ্ঞতায় স্মরি--
"বর্তমানের কবি তুমি-ভবিষ্যতের নহ নবি"
আর তোমার সেই দ্ব্যর্থহীন আহ্বান---
"মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই,
নহে কিছু মহীয়ান" আজও মোদের
শিরায় শিরায় স্পন্দিত তোমার বাস্তব উপস্থিতির অনুরণনে।


হে বিদ্রোহী বীর ! তুমি নন্দিত! তুমি অমর
তুমি সাম্যের সহচর, তুমি পথদ্রষ্টা জাতির
সাম্যবাদের পুরোহিত তুমি
তুমি বিদ্রোহী রনক্লান্ত একা
চির উন্নত শির।


হে বাংলা সাহিত্যের পুরধা!
তোমার সৃজন কর্মের অমূল্য সম্পদে
আর সত্য-শিব-সুন্দরের মানবতায় সৃষ্টিসুখের উল্লাসের ঝংকারে বীনার
সুরে বেজে ওঠা তনু মন প্রানে
সাম্যবাদের দামামায় উদ্ভাসিত চেতনায়
আজি তব জন্মদিনে কৃতজ্ঞতায় হৃদয়ে জেগে ওঠে স্পর্ধা!


হে মহান বিদ্রোহী বীর..
শ্রদ্ধায় বারবার জানাই তোমার
চরণে  মোর অঞ্জলি
করি নত শির।।


     ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ