টুকরো মৃত্যু এসে কড়া নাড়ে দরজায়
বিছানায় শুয়ে তাকিয়ে থাকি সিলিং ফ্যানের দিকে
কড়া নাড়ার শব্দ শুনেও না শুনার ভান করি
ফ্যানের ছুটে চলা দেখি অসহায় দৃষ্টিতে,


বক্স বিছানায় এলোমেলো চাদর জড়ানো
নিষ্প্রাণ ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে চাদর
ঠিক সামনেই ঠায় দাঁড়ানো সবুজাভ ধূসর চেয়ার
নিজের অনুপস্থিতি অবলোকন করছি তাতে!


টেবিলের উপরে বইগুলো সব নীরব বসে আছে
হাজার হাজার শব্দ-বাক্য অথচ কথা নেই
চিরকুমার এ পৃথিবী বৃদ্ধ হবে না জানি
শুধু আমিই থাকবো না এসবের ভিড়ে আর,


বিচিত্র ভাবনা ঘুরঘুর করে সকাল-দুপুর-বিকেল
রাতের বেলা কড়া নাড়ে টুকরো মৃত্যুর সুর
যেসবে আমি জড়িয়ে আছি অনেক বছর ধরে
তারপর এ দেহ, জড়ানো সে'সব পুড়ে হবে ছাড়খাড়!


তারা খসে পড়ে জানালার পর্দা ধরে
হঠাৎ নিজেকে আবিষ্কার করি ঐ তারায়
বিছানা-বই-টেবিল পাশ কেটে যখন ধরতে যাই তাকে
টের পাই পা দুটো বারণ করছে জড়িয়ে ধরে খাট,


পুরোনো স্মৃতি-বিস্মৃতি একসাথে এসে ভর করে
অথচ মৃত্যুকে আটকানোর সাহস নাই কারো
দরজার কড়া নাড়ার তালে আহবান করে ঐ তারা
অবাধ্য হয়ে কেমনে যেন খুলে ফেলি দরজার কপাট!