নীল ছুই ছুই


মানুষ বাঁধে স্বপ্নের বালাঘর জন্মচিহ্ন নিয়ে
স্বপ্ন রঙ ছড়ায় বুকে জলপ্রপাত ধ্বনী কেটে
আকাশ রঙ বদলায় প্রকৃতি ভাঙ্গন সুরছেপে
জীবন সময়ঘুড়ি রহস্য সীমা খুজে অফুরান
তবু পালে হাওয়া লেগে নীল ছুই ছুই,তুলির
বাহারি রঙ ফিকে হয় শিল্পীর ইমেজ ভেঙ্গে,
নদীজল ছুটে মাতৃ স্নেহ দিয়ে,মুক্ত পথ সরল
দিগন্ত আশার চুড়ান্ত সিঁড়ি,জন্ম যদি কালের
জলরঙ ধারাপাত কেবল শষ্য যোজনা মাঠে,
মন খেয়ালি খয়রী পায়রা ক্ষুধা পুষে ছুটাছুটি
ভালবাসায় রেতিমাটি ডালাভরা ফসলের গান
জীবন নদীর কুল ঘেষে গহীন মধুর নহর,
রাতের চাঁদর ঢেকে সময় রহস্য সেমিকোলন
আকাশ জোছনা সীমানা থরে থরে ফুয়ারা।
উপমা বারিন্দা ভেসে আসে বেলকনির চাঁদ
মহুর্ত্য মর্ত্যে যেন ধরা দেয় ধরনীর মহলে
তুমি দেখছো কী জীবন বাড়ির আঙ্গিনায়
ছন্দের মত সারিন্দা হেটে যায় দীপ্ত কিনারায়
আমার বসত জুড়ে তুমি!তবু পৃথিবীর বুকে
কান্নার আওয়াজ বইছে হুহু করে--জীবনে
মানুষরা বেখেয়াল যেন সময়ে সমান্তরালে,
ছুতে চাওয়ার আবেগ কাঁটেনা কভু নীলে।
মায়ার বন্ধনে কায়ার খাঁচায় ভালবাসা নীড়
ঋদ্ধ তীর বুকে চেপে জীবন কালের ছুই।


এক বৃষ্টিমধু রাতে


এমন রাতে, কহি নাই তারে মনের আকুতি
বৃষ্টির ধারা দিতেছে সাড়া তুমিহীনা শুন্য খাঁখা
ঝরিছে ঝরিছে জলের নুপুর মধুময় গীতি
তবু অন্ধকারে শুধু  ফিরে আসে মনে বাঁকা
চাঁদের রুপালী কলস ভরা তুমি তোমার ঘ্রাণে,
সময় ফিরেছে হেথা চেনা কোন এক বরিষনে
জীবনঘাসে না ভাসে যেন জলে শুষ্ক পত্রযানে
পাতার মরমরি শুনিনা দিলের গহীন কোনে।


গিয়াছে সবই তবে রতি আনি রয়েছে অম্লান
অফুরান যেন তুলে রাখি নিকষ প্রেম শর্বরী
বাহিরে জলের গান ভিতরে তুমি মর্ম সন্ধান
আজ বৃষ্টি এনে দিলে তোমার ছন্দে প্রানভরি
জীবনকাল ফিরে যদি কোন এক বৃষ্টিমধু রাতে
তুমি বিলাবে সুধা মোর স্বপ্ন রঙ অফুরান যাতে


চিহ্নকাব্য জাদুঘর
কত দুঃসময় পেরিয়ে এসেছে এই পৃথিবী
নমরুদের বিছানা,কী ছিলো নৃত্ত্বাতিক গোষ্ঠি
ভুগোলপ্লেট ভেঙ্গে কিংবা গনিত বাইনারি গেট
মানুষ প্রত্নের ঘোড়া ছেড়ে নিজেই সভ্যতার সার্ভার চোষে আলো ঐষি পথে চরম দুর্বার।


প্রজন্মের স্বাক্ষর মৃত্তিকার অষ্ঠো চুম্বন সিরিজে
সময় রুপান্তির মানুষ কালের কপালে ডাস্টারে  ম্লান অতীত সুর্য্য,লোকান্তর সভ্যতার আঁকড়
নুথিগুলি ঢাকা সেভজন চিহ্নকাব্যে জাদুঘরে।


মানুষের আদি কোন পথ নেই,থাকে স্বপ্নসিড়ি
আপডে-প্রযুক্তিস্রোত জ্ঞান নক্ষত্র রহস্য দুয়ার
মাতৃগর্ভেই শুরু লড়াকু প্রত্যয়ে মৃত্যুর নিশান
জীবন সেতো সময়ে প্রতিধ্বনি নদী সমান্তরাল
অদম্য সাহসী মানুষ বিধির সীমাহীন সংযোগে।


ইতিহাসের দাগ


কালের চুলায় জ্বলে ইতিহাসের ছেড়াপাতা
ক্রমশঃ গাঢ় হয় দাগ ক্রোধে ছোয় মেঘশিলা
জাতি আর্তচিৎকার বৃষ্টি যুগদেনার ধারাপাত  দাম্ভিক কখনো কখনো সীমার অতল সংঘাত থেকে হেনেছো চুর্মার পৃথিবী জীভাস্ম মানবখই


ফেকাশে মুখখানি স্তব্দ হতবাক ধুয়ার কুন্ডলির পাশে নির্বাক শ্রোতা যেন দাড়িয়ে শান্ত অধীর
কত আখিজল ঘরায় ভরিলে ভিজিয়ে পাহাড়
সে যেন নুন গল্প জমে শুধু হ্নদয় বিরান যাহার
রক্তদাগ থেকে যায় সময়বাহনে ফসলি বাহার