ক্ষুধা!তুই কি কোনো প্রকৃতি?
নাকি একটি প্রকৃতিকে উদাস আর
জ্বালাতন করার কোনো অগ্নীদূত?
তোর জ্বালায় অন্য একটি প্রকৃতি ধাবিত হয়
নিশ্চিত কোনো মৃত্যুর পথে।


ক্ষুধা! তুই কি সৃষ্টির জন্য অভিষপ্ত আরেকটি সৃষ্টি?
তোর তাড়নায় ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাধ, রক্তপাত-
অন্ধ লোকটিও বড়টি চিনে।


ক্ষুধা! তোর এ কেমন আচরণ?
তোর যন্ত্রণায় প্রতিটি প্রকৃতি আর্তনাতে বেহুশ
কায়-মন নির্বাক-নিথর হয়ে যায়
কখনো ডাস্টবিনের ময়লা ভক্ষণ।


ক্ষুধা! কখনো দেখি তোর এমন রূপ
কঙ্কালসাড় মায়ের স্তন চূষে ঐ জীর্ণদেহী শিশুটি
বাঁচতে চায় তোর থেকে।


ক্ষুধা! তোর কারনে মৃত্যুপথযাত্রী একশ বছরের বুড়োটি
লাঠিতে ভর দিয়ে ভিক্ষা করে দ্বারে দ্বারে
কখনো ধাক্কার আঘাতে চোখের জল ফেলে কোকাতে থাকে।


ক্ষুধা! তোর কারনে ঐ নিষ্পাপ শিশুটি খাবার চুরির অপরাধে
লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে লুটোপুটি খেয়ে
মাগো! মাগো! বলে আর্তনাত করে।


ক্ষুধা! তোকে অভিষপ্ত বলবোনা তো কী বলবো?
তোর কারনেইতো এতো ব্যবধান-
জীর্ণ শরীরের কিশোরিটি চাকরাণী হয়
বিলীন করে দেয় কুমারি জীবনের স্বাদ।