ও গো শুনছ ?
বাজারের লিস্ট আর তেলের ভান্ড গুলো নিয়েছ তো ?
ঈদের বাজার, ভুলো না যেন কিনতে কোনো কিছু,
বসন্তও দুয়ারে ,বাসন্তি রঙের শাড়ি নেই  ঘরে ,
অনতুর আর তোমার পাঞ্জাবি কিনতে ভুলো না গো ।
আর হ্যাঁ, দাদা কালীন সাইকেল টারে অবসর দাও প্রভু .
দাদা গেল, বাবা গেল, তোমারো তো  সময় হয়ে এলো
ওটাকে অবসর দিয়েই দাও
নাকি, ছেলের ঘাড়ে চাপাতে চাও ?
তোমার তো আবার,
কোনো কিছু ফেলে দেবার ইতিহাস নেই ।

থামবে তুমি? পাঞ্জাবি টা যে কই গেল ,
ইশ, রদ্দুরটাও  চড়া হয়ে  এলো,
এতবড় ফর্দ, পকেটে এত অল্প অর্থ
সব কেমন যেন এলোমেলো ঠেকছে,
উপুরন্ত সাইকেল সমাচার ,
খোট্টা দেবার  
আর সময়  পেলেনা ?
যা শালার,বাজারে আর যাবই না ।
রাখো তোমার ফর্দ আর রাখো তোমার ভান্ড
পাঠাও বাজারে, অকাল কুষ্মান্ড টারে,
দেখি কিছু কিনে আনতে পারে কি না পারে ।

হাসি আর চেপে রাখতে পারি না কোনো ভাবেই  
প্রসন্ন বদনের প্রচ্ছন্ন মানুষটির  এই
চেহারা নিয়েই সুখে আছি দিনমান ।
প্রশ্ন নেই তবু প্রশ্নের ভান ,
ভঙ্গি নেই তবু ভঙ্গিমায় অভিমান ।
রাগ নেই তবুও রাগ রাগ রক্ত চোখ,
যোগ বিয়োগের ধার ধরে না তবুও উষ্ণ  অভিযোগ
অভাবের  সংসার , এত বড়ো পরিবার
অথচ, দৈন্যতার কোনো প্রসার
তার  আশেপাশে নেই
দুঃখ বুঝি কোনো বিভ্রান্তি মনা মানুষের আবিষ্কার ,
সমস্ত দিনমান, সুমন্ত চলাফেরা ,
উচ্চ কোনো বাসনা নেই, মেকি কোনো মহড়া নেই ।
হৃদয়ের দুয়ারে কোনো পাহাড়া নেই  
অবাধে আসে যায় সব সব মানুষেরা
শান্তনুর বয়স পঞ্চাশের ওপারে  
সাতাশ বছর হলো আমি তার ঘরে
নিমতলায় নিমজ্জিত আমাদের এই ধাম,
আর সালিফা, আমার তারই দেয়া নাম ।