ভালোবাসা


আজগর আলী


ফুলেরা বললো যেহেতু সে হাসে
সে আমাদের
পাখিরা বললো নাহ
সেতো গান ভালোবাসে-


বললো মৈনাকের দীঘি
সেতো রোজই আমারই ঘাটে আসে
সাগর বললো তীব্র হাহুতাশে
না না সেতো নাচে আমারই উচ্ছ্বাসেউচ্ছ্বাসে-


মেঘেরা বললো হেসেহেসে
চৈত্রের খরতাপে
সেতো জল মাঙে আমারই সকাশে!


দূরাকাশ বলল ধুৎ ছাই
রাতে কীবা প্রাতে
সেতো আমারই বুকে খুঁজে ঠাঁই-


অদূরে কাঁপছে অই জলাঙ্গীর ঢেউ
আমি যে তার- এ আর বুঝলো না কেউ-



গ্রামীণ


গুরু
বহুদিন ধরে
নেশা হয় না আর
কিছু কি আছে নতুন-


গীটার ছাড়ো
হ্যাঁ এবার গান ধরো
আনো কাহারবা সারেঙগি-
নতুবা এস্রাজ
এবার নেশা হবে আলবৎ
মীরাবাঈ নয় এটা গ্রামীণ মদ-



প্রাচীন দ্বিধা


আজগর আলী


দূরের শালবনে বাজছে
মিনুহিনসেতার পাতার নূপুর
যেনবা প্রাচীন দ্বিধা
এক প্রচ্ছন্ন ধাঁধাঁ-


করিডোরে দুলছে কারো চুল
যেনবা কালো কাশফুল
আমার দুচোখে বিঁধছে অনবরত
অজস্র স্তনাগ্রের হুল-