ইট কাঠের-
এই যান্ত্রিক ঢাকায় আবেগ পড়েছে ঢাকা,
স্মৃতিরা অবশ-
আজ হৃদয়ে ঢামাঢোল মহা-শূন্যতা-ফাঁকা।


সত্যি আজ কিছুই মনে পড়ছে না আর


মনে পড়ছে না
শিশির ভোর আর ভাইয়ে বোনে খুনসুঁটি,
এখানে আমি-
রাতের শেষে প্রতি প্রাতে নিয়ম করে ছুটি।
মনে পড়ছে না
পল্লিবালা ঐ মুছাপুর আর রামপুর গ্রাম
পড়ছে না মনে
বাল্যবন্ধু সফিক আর রফিকেরও নাম    
      
মনে পড়ছে না
হেয়ালি মন, রুদ্র-রুক্ষ ক্লান্ত ঐ উদাস দুপুর,
পড়ছে না মনে
চপলা বালিকার খিলখিলে হাসি, চঞ্চলা নূপুর
মনে পড়ছে না
মাতাল হাওয়ায় ভাসে কিশোরীর পেলব কেশ
ভুলে গেছি সহজেই-
এখানে আমি বড্ড রোমান্টিক! রয়েছিতো বেশ।


মনে পড়ছে না
খরস্রোতা প্রমত্তা ঐ ছোটফেনী নদী,
পড়লে মনে তাই-
মরি মরি হায় ফের ছুটে যাই যদি!
মনে পড়ছে না
পূবের চরের গরু আর মহিষের পাল,
এখানে রয়েছি ধরে
এই যে আমি বিশ্ব সংসারের হাল!


মনে পড়ছে না
কোকিলের উতলা গান দোয়েলের শিস,
এখানে নিয়ম-
বড়ই কড়াকড়ি হয় না ঊনিশ থেকে বিশ।
ভুলে গেছি-
ধরেছি শেষ কবে ডুব্বাল ডাহুক,
এখানে বেঁধেছে
আমারে সীমাহীন মায়ার কুহুক।


মনে পড়ছে না দাদির-
অকৃত্তিম স্নেহমাখা মুখ দাদার শাসন,
এখানে পেতেছি-
আমি নিশাচর সভ্যতার যান্ত্রিক আসন।
মনে পড়ছে না
মায়ের হাসি জানি না এখন আর বাবারও খবর!
আমি যে পাষাণ ওরে
নিজ হাতে তাঁদের রেখিছিনু গোরে দিয়েছিনু কবর।


এখানে নিয়ত সমৃদ্ধি আর প্রবৃদ্ধির হাহাকার
এখানে নিয়ন বাতিতেও ঝরে প্রাণ আহা কার,
এখানে প্রেম ভালোবাসা ঘৃণা ছলনা একাকার
আসলে এখানে সুখের মুখোশ ভেতরে কদাকার।


এখানে সকল সফল যন্ত্র রয়েছে স্মৃতি ভোলাবার
সত্যি আজ কিছুই মনে পড়ছে না, মনে পড়ছে না আর