------------
            


  রাতের আকাশে দ্বাদশীর চাঁদ যে আলো ছড়ায়!
        আমি আঙুলের ডগায় সেখান থেকে ;
   একফোঁটা দীপ্তি এনে ছোঁয়াতে চাই তোমার-
                কৃষ্ণকুন্তলা কপালে,
তুমি অপার তৃপ্তিতে তাকাবে মিষ্টি দৃষ্টি নিয়ে তোমার,
       আমার আজন্ম তৃষ্ণার্ত চোখে পড়বে-
              তোমার হরিণীর চাহনি,
       তোমার দৃষ্টির সকল মায়া ঝরবে;
              আমার স্ফিত স্কন্ধের উপর;
আমি আমরণ ভার বয়ে বেড়াবো তোমার ভালোবাসার!


      হিজল আর তমালের বনে বেজে ওঠা-
             পাখিদের কলতান থেকে ;
  একটু বিরল সুর এনে তোমার অলঙ্কৃত কানেকানে!
            গাইবো একটি রবীন্দ্রের গান,
চোখ দুটি মুদে তুমি শুনবে আমার প্রেমের আকুতি,
        অপার মুগ্ধতায় তুমি মাথা নাড়িয়ে
                 জানাবে মনের সায়!
            আমি চেয়েচেয়ে দেখবো
           তোমার কানের বালার আকার !
দুলযুগল দুলেদুলে আমাকে কেমন ডাকছে আবার!


     বাংলার গ্রামীণ পথেপ্রান্তরে ফুটে থাকা
   পলাশ বকুল কিংবা কচুরিপানার ফুল থেকে ;
     কিছু পাপড়ি এনে আলতো করে ঠেকাবো
                 তোমার তুলতুলে গালে,
             তুমি লজ্জায় লাল হয়ে পালাবে!
              সখিনা বুবুদের ঘরের কোণে,
         আমি আনমনে চেয়েচেয়ে দেখবো!
                  তোমার যাবার পথ;
      মনেমনে গুনবো কয় কদম দূরে দাঁড়িয়ে
    তুমি ঘনঘন- শ্বাস ফেলছো আমার পানে!


  আমি পৃথিবীর সকল উপমার ডালি উৎসর্গ করে    
                       তোমার জন্যে,
           শেষমেষ আবার ফিরে আসবো
         এইসব আলোঢালা জোছনারাতে,
     পূর্ণ গর্ভবতী চাঁদের গা থেকে একমুঠো কলঙ্ক এনে
                 জমা রাখবো তোমার শরীরে,
      সমাজ সংসারের সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে;
তুমি আমরণ বয়ে বেড়াবে চালচুলোহীন এই আমাকে!


           আমি তোমার সুউচ্চ গ্রীবায়
             ফুটে থাকা জরুলের ভেতর;
     অতিব সুকৌশলে সোনার দিনার ছাড়াই
        বেঁধে নেবো আমার অভাবের সংসার।