এ জল-ঝর্ণার সুঘ্রাণ মাতালবৈরাগ
নিকষ রাতের মোহন আবেশে
আমার দেহজ গোপন চুল্লি------- দাউদাউ
তোমারেই মনে পড়ে
                            সুরহানা---------


আমার নদীর দেহ বেয়ে
ধেয়েগেছো কোন গহীনের সাগরে
ডুবেগেছো মুক্তোমাণিক্যের অতলান্ত বিবরে
ঠেকেছো বুঝি বাসনার হিমালয় বরাবর!
কখনো আর কিছুটাও নিম্নগামী হলে না!
                                            -------সুরহানা


ওহ
বুঝিবা আমার ঢেউগুলো
নিস্পৃহ
নিস্তেজ  ছিলো!
টলাতে পারে নি তোমার যাতনার শৃঙ্গ
কেবলই ছুঁয়ে গেছে শুধু---
ভেসে গেছে গোপন প্রয়োজন
ডুবাতে পারে নি
তোমার কামনার উতরোল তরঙ্গ--
পেরুতে পারে নি
তোমার উন্মাদনার গোপনসীমানা
তাই চলে গেলে ছলে
কিছুই বললে না ------
                              সুরহানা-----


তাহলে ভুলেগেছো
সেসব উদ্দাম বোশেখের দিন
ভুলেছো অন্তরঙ্গ সমুহমিলনসব রস আর রসালরঙীন----
কীভাবে মিটিয়েছো ঝোঁপঝাড়
পানের বরজ-----
ধানের ক্ষেত-----
আবদ্ধ দরোজা আর জানালার ঋণ---
তুমি নাচতে আর
হাসতেহাসতে মিশেযেতে আমার উদাম বক্ষশাখে
গৃহত্যাজি--- পলাতক সর্পিণী--- কত কতকত দিন
আমি বাজাতাম নিমগ্নে কামনার বীণ-----নাগীন-----


ভুলে গেছো সব নতুন নতুন শীৎকার----রাগ
শরীরে বাজিয়ে গেলে কামের বেহাগ
না না ভুলবনা -----
                              সুরহানা---


হয়তোবা আগেই দেখেছো দূরে
দূরসাগরের সব উজ্বল জলঢেউ
হয়তোবা মুক্তোর খনির খবর
তোমাকে জানিয়েছিলো দূরাগত আগন্তুক কেউ!


কিন্তু একটু চাইলেই
হয়তোবা
আমাতেই ফলাতে পারতে তুমি
হীরা-জহরত- কীবা পান্না
বোকা মেয়ে!
তুমি তাও করলে না,  না করলে না
লোভের মাংস তোমার শরীরে??
তোমাকে মনে পড়ে
মনে পড়ে তোমার উদাম দেহবল্লরী পত্রপল্লব আর শাখাপ্রশাখা---- কামনাবিবর
তেমন কিছুই মনে পড়ছে না আর
                                       সুরহানা ----