বড় রোগ বেকারত্ব
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ


ও পাড়াতে করোনা রোগী এ পাড়াতে হাম,
ঘরে ঘরে ডেঙ্গু জ্বর আর ঔষুধ পথ্যের দাম
চাল ডাল চিনি তেলের বাজার বাড়ছে হই হই,
শান্তির মা আধমরা তো শান্তি গেল কই?


শান্তির গায়ে হাম ধরেছে কাতরাচ্ছে নিজ ঘরে,
খবর এলো আনন্দবাবু করোনায় গেছে মরে।
নন্দবালা'র ছোট ছেলেটা বেড়ায় শেলফি তুলে
টিকটকে দিন কাটায় খাবার কথা ভুলে।


নন্দবালা বলল , বাইরে যাসনে বাবু থাম!
শান্ত'র ছেলে শান্তি বাবুর গায়ে ধরেছে হাম,
শুনলাম পাশের গায়ে করোনায় মরল কতজন,
কিছুই খেয়াল রাখিস না, চালাস শুধুই ফোন?


বলল বাবু মাগো এখন আমার কথা শুন
লেখা পড়া শিখেও মাগো ভাতের পাতে নুন।
চাকরি হবে বলে জমিগুলো দিলা বেছে,
টিকটকে না থাকলে কেমনে থাকব বেঁচে।


বলল মা, ও বাড়ির লোক এসেছে ঢাকা থেকে
করল লকডাউন ঐ বাড়িটি প্রশাসনের লোকে,
যাসনে বাবা ওদের বাড়ি একটু সবুর কর,
ওদের বাড়ি যেতে পারবে চৌদ্দটি দিন পর।


হাম করোনা ডেংগু মাগে নিত্য দিনের সাথী,
কে মরবে কে বাঁচবে কার কপালে কী নিয়তি?
এর চেয়েও বড় রোগী মাগো শিক্ষিত বেকার,
সব রোগ আমায় ধরুক  মরণ যে দরকার।


আর কতকাল থাকব মাগো বন্দী আপন ঘরে
বেকারত্বে জ্বলছি মাগো খাচ্ছে কুরে কুরে,
রোগে শোকে যুদ্ধে দ্রব্যের বাজার উর্ধ্বগতি,
পথ্য বিহনে মরল শান্তি এখন অশান্ত পৃথিবী।