গাঁয়ের ছেলে মোশা মিয়া
রূপসী কন্যা করল বিয়া!
নাম ছিল তার উম্মেহানী;
তিন সন্তানের হলেন জননী।


সংসারে তার নেই অভাব
নম্র শান্ত ভদ্র স্বভাব!
উন্মে হঠাৎ পড়ল জ্বরে;
কাশীর সাথে রক্ত ঝড়ে।


কত হেকিম এলো গেল
কত প্রকারের ঔষধ খেল।
ঔষধে অসুখ বৃদ্ধি পেল,
উম্মে একদিন মারা গেল।


সংসারে নামল দুখের ছায়া,
ছয় মাস পরে করল বিয়া!
এল ঘরে নতুন ঘরনী
মেজাজটা তার খরখরানী।


রান্না বান্না সেরে বউয়ে
সবার আগে খায় সে নিজে
সতীনের সন্তান হয়না আপন
জমি জিরাত নিল লিখে।


বোকা স্বামী বুঝলনা হায়!
দিল লিখে সব সমূদয়।
ছেলে তিনটি কষ্ট করে,
মানুষ হল পরের ঘরে।


বিমাতার অনাদরে
ঠাঁই মিলল না আপন ঘরে
তারা এখন তিন ভাইয়ে
ঢাকায় গিয়ে চাকরী করে।


নতুন বউ তার হস্তিনী
কন্যা দুইয়ের  জননী
দুই কন্যা হল রাজরানী
বাকিরা সবাই ফকিরানী।


পাশের বাড়ীর রফিক চাঁদ
বহুদিন ধরে বসান ফাঁদ
বাড়ী ভিটে কেনার আশায়
মিল দিয়েছে জমির নেশায়।


হঠাৎ একদিন সঙ্গোপনে
জমি টুকু নিলেন লিখে,
কন্যা দুটির হাত ধরে
পালিয়ে গেল বাপের ঘরে।


চলমান তাং-২২/১১/১৮