পুরোনো হার্টের ব্যথা
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ


হার্টের ব্যথাটা বাড়ছে,
ব্যথায় ছটপট করছে,
অভাগীনি মেয়েটি এ বাড়ী ও বাড়ী ছুটছে
কাকা মামা খালা খালু দাদা এসো
বাবা কেমন করছে ;
শুনেও কেউ শুনছে না,
কানে করোনা তালা লাগিয়ে দিয়েছে,
কেউ আসছে না,কেউ এল না।


সবাই শুনছে আর ঘরে ঢুকে লুকাচ্ছে,
যাওয়া যাবে না,ছোঁয়া যাবে না,
দেখাও যাবে না।


মেয়েটি কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে মুঠো ফোনে
এম্বুলেন্সেকে ফোন দিয়েছে,
তারা ফোনটিও তুলছে না।


অবাক চিত্তে আকাশের দিকে মুখ উঁচিয়ে
হাউ মাউ করে কাঁদছে, কেউ তার ডাক শুনছেনা, কেউ এল না।


গভীর রজনীতে ডাক্তার খানায় ছুটে গিয়েছে
ডাক্তার কথা শুনে গেটে তালা দিয়েছে।
নিস্তেজ হয়ে বাড়ীতে ফিরে, বাবার বুকে হাত দিয়ে শান্তনার বানী শোনায়;


রাত পোহালে তোমাকে
ডাক্তার খানায় নেয়া হবে।
দেখবি বাবা তুমি ভাল হবে।


বাবা ঠোঁট দুটো একটু উঁচিয়ে বলে
মারে কেউ আসবে না।
এ সময় যে মরনব্যধি করোনার সময়।


মেয়ে চোখ মুছে বলে,
বাবা তোমারতো করোনা হয়নি।
শিয়রে প্রানের বিবি অঝোর ধারায় কাঁদছে,
কেঁদে বলে মারে আমরা যে দরিদ্র,
অার এ সময় যে মরকের সময়।
বাবা ছটপট করছে, মরন যন্ত্রনায় ছটপট করছে, মেয়ে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠল,
বলে উঠল " হায়রে দেশ সবাই ছল পেয়েছে!"


মা মেয়ের সামনে বাবা মুখ ফিরিয়ে নিল আর মা নাকে হাত দিয়ে দেখে নিঃস্বাস বন্ধ হয়েছে।
পুরোনো হার্টের  ব্যথাও আজকে করোনা রুপ নিয়েছে।