আকাশ দেখেছি,
দেখেছি তার বিশালতা,
সবাইকে করেছে আপন;
দেখিনি স্বার্থপরতা
দেখিনি কৃপণতা,
দেখেছি মহানুভবতা
ছাদ হয়ে ঢেকে রেখেছে
বিশ্ব ভুবণ।


দেখিনি পবণ,
অনুভব করেছি,
শব্দ শুনেছি,
যেন ভোরের স্বপণ;
ঘর্মাক্ত শরীর আর,
কুল মাখলুক কে শান্ত করার প্রয়াসে,
বিনিময়ে কিছু চায়নি,
করেনি কোন প্রলোভণ।


নদী-সাগর দেখেছি
দেখিনি তার গভীরতা,
দেখেছি তার বুকে,
জন্মানো মৎস্যজ
চিরদিনে করে মানব কল্যাণ।
দেখিনি তার চাওয়ার ব্যকুলতা,
পৃথিবীর নোংরা আবর্জণার
জন্য নহে সংকীর্ণ,
সদা ম্লান উম্মুক্ত
নিয়ে ছুটে চলে নেই কোন আরাম,
চলছে নিরবধি,
বুকে নিয়ে প্লাবণ।


দেখেছি পাহাড়
দাড়িয়ে আছে নিরব নিথর
পৃথিবীকে আটকিয়ে রেখেছে
যেন সিড়ির ভেতর।


মেঘের বর্ষন আর, ঘর্ষনের
শব্দ শুনেছি শ্রাবনে
গুনিনি ফোটার কান্না,
জানি জন্ম উৎস
কোন রং চোখে পড়েনি,
জানিনে সৃষ্টির রহস্য।
সেই কান্নায় ফসল জন্মায়
ভোগ বিলাসে একাকার
বিশ্বের মাখলুকাত।


দেখেছি জীব সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব,
আমি আমার, তুমি তোমার।
আমি মিথ্যার, আমি সত্যের,
আমি মসজিদের, আমি মন্দীরের,
আমি গির্জার, আমি প্যাগোডার।
আমি সকল উপাশনালয়ের,
হাজার ভাগে বিভক্তির।
আমি রাজা আমি ফকির
আমি আমার নিজের স্বার্থের।