ছাতাটা হারিয়েছি কোন্ এক বাসভ্রমণে,
আজও কেনা হয়নি—হেঁটে চলি জলে ভেজা প্রাতে।
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি নামে নিঃশব্দে শহরের গায়ে,
আমি হাটি নিঃসঙ্গ, যেন গল্পের একান্ত পাঠে।
দু’পাশে দু’জন হাঁটে, হাতে ধরে ছাতা,
কথা নেই, হাসিও না—নিস্তব্ধ এই যাত্রাপথটা।
এ শহর শেখায়: বিশ্বাস নয়, দূরত্বেই সুরক্ষা,
কাছে এলেও হৃদয় থেকে থাকে বহুটা ফাঁকা।
ভাবি—গ্রামে হলে কী হতো?
কোনো এক অচেনা মানুষ হয়তো ছাতার নিচে ডাকতো,
‘ভাই, এই বৃষ্টিতে ভিজে কেন?’—সাথে একচিলতে হেসে
চায়ের দোকানে থামতো পথ, গল্পে দুজন যেতাম মিশে।
নীরব শহরে মন কাঁদে না আজ, বর্ষাকে উপভোগ করি
ভিজে গা, ভিজে মন—আকাশের ভাষা বুঝি।
যদি ছাতা কিনে ফেলি আজ,
এই আনন্দ, এই ভিজে সকাল—সবই তো হবে লাজ!
তাই বৃষ্টিকে ভালোবেসে চলি,
ছাতাহীন এক সকালেই হৃদয়টা ভরে বলি—
প্রিয় ঋতু, তুমি এভাবেই থেকো পাশে,
ভিজে যাক জীবন, যতক্ষণ প্রাণ হাসে।
কুড়িগ্রাম সদর
৩০/০৫/২৫