একটা সময় ছিল
...স্বপ্নেরা যখন উড়ে বেড়াতো উদার আকাশে
...শীতেলা কাক- ডাকা ভোরে, আরাম-ঠাণ্ডায়।
দিগন্ত জুড়ে মায়াবী নারীর চোখ
...ভালবাসতে শিখাতো সকাল আর সন্ধ্যায়।


সেই সময়ে
...শীতকালের ও গন্ধ ছিল।
...গোধূলির ধুলোবালিতে ঢাকার রাস্তার নেশা ছিল,
...মাথার ভিতরে সাপের খেলায় দংশন ছিল,
...গড়ানো দুপুরে নিশিন্তপুরের শান্তি-ঘুম ও ছিল।


দূর পাহাড়ের গানে তখন সুরের ঝঙ্কার ছিল,  
নিওন বাতির সোডিয়াম-আলোয় শরীরী মায়ার টঙ্কার ছিল।
সিগারেটের টানে বন্ধুদের মাঝে রাজত্ব ছিল,
ধ্বংস ও গড়ার বুভুক্ষু নেশায়
...দহন ও ছিল সেই সময়ে।


চাহিদা ছিল না কোনো
...আবেগগুলি ছিল ঘন।
...কবিতা ও ছিল জীবনে।
একটা গানে কিংবা একটা কবিতার বইয়ে
...কেটে যেতো পুরোটা দিন!
দশ টাকায় হয়ে যেতো পাঁচটা সিগারেট
...আর একটা বিকেল!
উদাসী হাঁটায় দেখা হয়ে যেতো
...আবার, আমার শহরটাকে।


সেই সময়টায় ছিল বর্তমানে বসবাস।
...বড় হওয়ার বাসনা ছিল না,
...পাহাড়চূড়ার ঝলমলে শহরের ডাকও ছিল না।
মা ছিল, বাবা ছিল
...আর ছিল পুরোটা পৃথিবী।


পৃথিবীটা তখন আমার ছিল।
এখন, আমি পৃথিবীর হয়ে গেছি।