আকাশের উপরে...আরেকটা আকাশ ছিলো
সেই আকাশে লুকিয়ে ছিল – শুকতারা!
দমকা হাওয়ায় যখন আকাশটা ভেঙ্গে পড়লো
ঘোর সেই আঁধারে, ছেলেটা হোল – সর্বহারা!


কিংকতব্যবীমূঢ়...তার চোখে তখন ধ্বংসের ছবি।
উঠে দাঁড়াবে ভেবে হাত বাড়ালো সেই মেয়েটার দিকে
          ...যাকে “জীবন” ভেবেছিলো সে!
দেরী হয়ে গেলো। তার আগেই শয়তোণের হাত
          ...ছুঁয়ে দিলো মেয়েটাকে; টেণে নিয়ে গেলো
          ...আরো অন্ধকারের দিকে।
          সর্বহারা ছেলেটা – হারালো তার সবই।


তারপর...বহুদিন...
ধুলবালিভরা আকাশের নিচে, সেই অন্ধকার পৃথিবীতে
          একাকী ঘুরে বেড়িয়েছে সে।
দুঃস্বপ্ন ঘেরা আলোহীন এক অপার্থিব জগতে,
খুঁজে বেড়িয়েছে পুরনো সেই “জীবন” টা কে।


শয়তানের অট্টহাসিতে – পুড়েছে কতবার!


এরপর...একদিন...
ডেরিঞ্জার পকেটে পুরে শয়তানের দরজায় ছেলেটা।
আক্রোশে, জিঘাংশায়, প্রতিহিংশায় অন্ধ সেই সর্বহারা
ট্রিগারে চাপ দিতে গেলো যখন,
দরজায় দাঁড়িয়ে তখন
এক দেবশিশু – শয়তানের সন্তান!
ছেলেটা পারলোনা ট্রিগারটা টানতে!
...ডেরিঞ্জারটা রইলো পকেটে,
... শয়তানের বাচ্চা – পিছনে।
ছেলেটা খুঁজতে বের হোল নতুন কোন "জীবন” কে!
...


সেই রাতে,
অন্ধকার সেই আকাশহীন আকাশের দিকে তাকিয়ে,
ছেলেটা...কাঁদলো অঝোরে।
সেই জল - বাষ্প হল।  সরালো কি সব জঞ্জাল!
ধুলোবালির ভিতর থেকে, বেরিয়ে কি এল
          ...এক নতুন আকাশ!
...সেই আকাশ - যেখানে লুকিয়েছিলো...শুকতারাটা!