প্রারম্ভঃ
চাঁদের নদী নামছে কেমন
মেঘের ভেলা ছুঁয়ে,
সেই নদীতে ডুবছো তুমি
সাদা-তে, শ্যামল মেয়ে।
তোমার চুলের জ্যোৎস্না-গন্ধে
চাঁদ-নদীতে ঢেউ,
পাখির ডানায়, চাঁদের কনায়
হৃদ হারালো কেউ।
.........
গল্পঃ
চাঁদের দেয়ালে মনের তুলিতে
স্বপ্নের বাড়ী তুলে,
দরজা খুলে বসে ছিল সেই
হৃদ-হারানো ছেলে।
জ্যোৎস্না স্নানে উদ্দাম ছিলে
পদ্ম-গন্ধা নারী,
রূপের ঝলকে জুটলো এসে
পতঙ্গ সারি-সারি।
তোমার কোন স্বপ্ন ছিল না
ছিল, রঙিন চশমায় – ফানুস!
পতঙ্গদের লাফ-ঝাঁপ দেখে
চিনতে পারোনি মানুষ।
স্বপ্ন- ভেলায় ভেসে গেলো যখন
স্বপ্ন–দ্রষ্টা মানব,
তোমার পৃথিবী দখল করলো
পদ্ম-লোভী এক দানব!
দানবের ভারে, পতঙ্গ-কামড়ে
পদ্ম হারালে তুমি
প্রেমিকের বুক স্বপ্ন হারিয়ে
হয়ে গেল মরুভূমি।
দানব ভাঙলো স্বপ্নের বাড়ী
পতঙ্গ খেলো হৃদ,
স্বপ্ন দেখার অপরাধে তাই
ছেলেটা হারালো নিদ।


জ্যোৎস্না জলে, সব হারালো
তাম্র-রঙা সেই ছেলে,
কষ্ট-নদী তার উপচে নামলো
বেদনা-পাহাড় ঠেলে।
......
যখন চাঁদ ডুবলো, জ্যোৎস্না ফুরোলো
ধরাতে নেমে এলে,
রঙ্গীন চশমা সরে গেলে পরে
প্রেমিক চিনতে পেলে।
পদ্ম হারালে, জ্যোৎস্না হারালে,
মৌমক্ষিরা উড়াল দিলো!
ভালবাসা তুমি বুঝতে শিখলে, যখন
ভালবাসা ছেড়ে গেলো!


দেরী হয়ে গেল। ছেলেটা এখন
তোমাকে খোঁজে না আর,
স্বপ্ন হারিয়ে... তুমি হয়ে গেলে
নিস্তব্ধ, এক পাহাড়।
.........
সমাপনীঃ
কষ্ট-নদীটা বয়ে চলে যায়
পাহাড়কে পিছনে ফেলে,
পাহাড় ও নদী মিলে কি কখনো...
...মেঘের ভেলায়
...পাখীর ডানায়
...চাঁদের কনায়
...আরেক জ্যোৎস্নায়,
দূর কোণ সমতলে?