তরে আমি দেখ্ সি লাল পাইড়া শাদা ধব্ধইব্যা শাড়ীতে
সইন্ধার আন্ধারে, জামরুল গাছটার তলে।
দূর পাহাড়ের দিকে তাকায়্যা উদাসী চক্ষে
কি জানি ভাবতাসিলি তুই!
খরখইরা নদীটার উপর দিয়া বয়্যা যাইতাসিল
হীম-শিতলা বাতাস!
তর কুয়াশার মতোন মুখখান দেইখ্যা
আমার বুকের ভিতরডা হুহু কইরা উঠ্্সিলো।


তুই জবাব দ্যাস্ নাই আমার প্রস্নের, শুধু শুকনা মুখে হাসছিলি।
আমারে জিগাইসিলিঃ এই নদীডা কত্্দূর যায়?
আমি কইসিলামঃ খরখইরা নদীডা বেশী দূর যায় না রে।
তুই জিগাইসিলিঃ সমুন্দর কত দূরে তুমি যানো?
আমি কইসিলামঃ সমুন্দর বহুত দূর।
তুই আমার খরখইরা বুকে ঝাপাইয়া পরসিলি!
তর চক্ষের জলে আমার বুকডা সমুন্দর হয়্যা গেসিলো সেইদিন।


আকাশডা কেমুন জাম্রুল-রঙ্গা হয়্যা আসিল্,
আন্ধারডা নামতাসিল ঘুপ কইরা
যেন্ তরে নিয়া ডুব দিবো এক পাতালফুরীতে!
গ্যারামের লুলা কুত্তাটার কান্দনের শব্দে, আর
হীম – বাতাসে কেমুন কাপতে আসিলি তুই!
তুই কইসিলিঃ আমি যদি পালাই তুমার লগে!
আমি কইসিলামঃ পাগুল হইসশ?
রাখুম তরে কই?
খাওয়ামু কি?
সময় দে আরেকটু।  


তুই আমার মুখটাতে হাত বুলায়্যা বল্্সিলিঃ
বাড়িত্ যাও, আমারে সবাই খুজবো।
সেই রাইতে আমি ঘুমাইতে পারি নাই,
লুলা কুত্তাটা কান্দসে সারারাত!


এর পরে কত্ত খুজসি তরে!


আমি কইতে পারি নাই কাউরেঃ
আমি তর সমুন্দর হইসিলাম সেই রাইতে।
আমি কইতে পারি নাই কাউরেঃ
তর গায়ে জাম্রুলের গন্ধ আসিল আর
আমার বুকে আসিল বন্ধকী চাষার অক্ষ্যাম্ তা।


...
খরখইরা নদীডা যেইহানে শুকায়্যা গেসে,
সেইহানে অরা পাইসিল তরে।


...
যাবি ই যদি জানতি, আমারে ক্যান তর জাম্রুল গন্ধ দিয়া গেলি?
যাবি ই যদি জানতি, আমারে ক্যান তর সমুন্দর দিয়া গেলি?
আমি বন্ধকি চাষা...তর সমুন্দর লইয়া অহন কৈ যাই!