কি হচ্ছে কি ধ্রুব?

আমি তো কিছু করিনি!

ওভাবে দেখো না আমায়!
ওই দৃষ্টিতে আমার ভিতরটা কেমন কেঁপে কেঁপে যায়!

আচ্ছা – এই চোখ বন্ধ করে বসে রইলাম।
তোমাকে একটা গান শোনাই :


আম্মাগো...এই অন্ধ ফকিরডারে দয়া কর!
তোমার দানভান্ডার থেইক্কা একডুখানি মায়া করো!
প্রেমের ফকির আমি কেউ নাই আমার!
দয়া করো, দয়ার শরীর তোমার!

ধ্রুব!

আবার কি করলাম!

জড়াচ্ছো আমায় কথার মায়াজালে!
ভাসিয়ে নিতে চাচ্ছো তোমার... কবিতার ঈন্দ্রতালে!

আচ্ছা, কথাও বন্ধ করি তবে!
তোমার গন্ধটা! গন্ধটা নিতে দেবে?

কি করছ ধ্রুব তুমি!

জীবনের গন্ধ নিচ্ছি তোমার চুলে
দাও চন্দ্রীমা
আমিতো আর কিছু চাচ্ছি না!

আচ্ছা, তুমি কি চুপচাপ বসে থাকতে পার না!
সবসময় পেতে হবে কেন কিছু!
পাশাপাশি বসে...আ্যই...ধ্রু...ধ্রু...
ধ্রুব!

সসস্...এবার আমাকে বলতে দাও চন্দ্রীমা।


অশরীরী আত্মা নই আমি, নই কোন ফারিশ্তা!
তোমাকে চাই।  সারাক্ষন চাই। সবকিছু চাই।
মানুষ আমি। রক্তমাংসের মানুষ।
লোভী আমি, ক্ষুধা ভীষণ তোমার জন্যে!
তোমার জন্যে মরুভূমি হয়ে, প্রতীক্ষায় থাকি তাই।


মাঝে মাঝে যখন দেখা দাও, বিরল কোন পূর্ণিমায়!
তোমার একফোঁটা জোত্স্নার জন্যে
মরুভূমি আমি তখন...ভিখিরি হয়ে যাই।
...
তুমিতো জানোনা!
আমার কি হয় যখন তুমি থাকোনা!
তুমিতো জানোনা!
আমার দিন কাটে না, রাত কাটে না।
প্রতীক্ষায় পুড়তে থাকি...অনবরত
আমি ...কয়লার মতো!
তুমিতো জানোনা আমার ভয়!
তোমাকে আবার দেখার আগে কয়লার মতো!
কয়লা যেমন পুড়ে নিঃশেষ হয়!


চন্দ্রীমা,
তুমি কবিকে বেঁধো না!
তোমার সব জলে আমায় বিশুদ্ধ হতে দাও!
জল দাও। আলো দাও। জীবন দাও।
পরেরবার দেখতে চাও যদি আমায়,
আমার বাঁচার পেট্রোল দিয়ে যাও।