ঃ
কি করছো চন্দ্রীমা?
ঃ
কবিতার প্রেমে ফেলে দিয়েছ আমায়!
কবিতা আর তুমি...তাই নিয়ে আছি।
তুমি? কোথায় এখন?
মা’র সাথে দেখা করেছো?
সিগারেট কয়টা খেয়েছ আজ?
ঃ
তুমি তো প্রেমিকা আমার
গৃহিণী নও, হবেও না কোনদিন!
তবে ওইসব প্রশ্ন কেন?
ঃ
জানতে চাইবো না তবে?
ঃ
জেনে কি হবে?
যে জীবন বন্ধনহীন সে জীবন নিয়ে
যাই করি...কার কি এসে যায়!
যতদিন থাকবো, বয়ে যাবে উদ্ধাস্ত জীবন
যা ইচ্ছা করবো, আর তোমাকে জ্বালাবো!
চলে যাওয়ার সময় হলে, নীরবে বিদায় নিবো!
ঃ
এইসব কথা কেন বলছো আমায়!
চাও আমি খারাপ থাকি!
ঃ
না না না। আমি তোমাকে...
ভালো দেখতে চাই, সুখী দেখতে চাই।
তোমার সংসারে সমৃদ্ধি নিয়ে থাকো...তাই চাই।
ঃ
সংসার!
সব তো ভেসে যাচ্ছে তোমার ঝড়ে!
...
বলো, তোমার মন খারাপ কেন?
ঃ
মন খারাপ না, দুঃখ বিলাশ ও না,
কেমন জানি ক্ষয়ে যাচ্ছে ভিতরটা!
কিছুতেই সর্বহারা ভাবটা কাটাতে পারছি না!
...
বাদ দাও, বলো। আমাকে - মনে হয়েছে তোমার!
ঃ
তুমি তো এখন আমার নিত্য সঙ্গী!
সেদিনের দাগ গুলি এখনো যায়নি!
ঃ
কোনগুলি? মনের না অন্য কোন?
আচ্ছা থাক, বলতে হবে না, জানি আমি।
ঃ
সেদিন তোমাকে প্রশ্ন করতে দেইনি,
নিয়েছি শুধু – যা চেয়েছি। এখন করো।
ঃ
আমার চোখে চোখ রাখবে চন্দ্রীমা?
ঃ
রাখবো।
ঃ
বুকে বুক রাখতে চাইলে?
ঃ
দিবো।
ঃ
তোমার খুব কাছে এসে নিঃশ্বাসের গন্ধ নিলে!
ঃ
নেবে।
ঃ
যা ইচ্ছা খেতে চাইলে!
ঃ
অসভ্য!
খাবে।
ঃ
কবে দেখা দিবে চন্দ্রীমা?
ঃ
ধ্রব!
তোমার লোভে আমার সর্বনাশ হচ্ছে তা জানো?
ঃ
কিভাবে চন্দ্রীমা?
ঃ
আমিও তোমার মতো...
...লোভী হয়ে উঠছি!